ক বি তা
শব্দেরা তৃণভোজী; মিথোজীবীও।
একে অপরের সহায়তায় রোপণ করে মহীরুহ।
সাবলীল ভঙ্গিমায় গ্রাস করে –
সদর ফটক , ব্যালকনি, টবের শূন্যতা।
পাঁচ ফুট উপরে দু’টি চোখ
কফি পানের আগে, একটা গোটা অদৃশ্য পৃথিবী
কাবাব রূপে বিদ্ধ করে দৃষ্টিশলাকায়।
তার গাল চুঁইয়ে পড়া আটলান্টিকের শ্বেতস্রাব,
ঠাঁই পায় সদ্যোজাত সবুজ পৃষ্ঠায়।
গ্রীষ্ম বোনো উলের কাঁটায়,
বরফ দেওয়া শরবতে থাক শীতও।
কাঁপছো তুমি ওপর ওপর,
ছায়ার মতো পুড়ছো ভিতর ভিতর।
প্রেম চিরকাল পর্ণমোচী,
সন্দেহতে ঝরলে ঢাকে উঠোন।
জল-আগুনে ভাব হয়ে যায়,
বঞ্চিত হয় আগলানো খড়কুটো।
শত্রু যে, তার শত্রু তুমি ;
সেই হিসেবে বন্ধু নিজেই নিজের।
বাঁচার মানে, কে কীভাবে
সবকিছুতেই যাচ্ছে কেবল ভিজে।
ভিজলে যেন দাগ না থাকে,
গোপন করা রাগ না থাকে মনে।
শেষ না দেখে তুমি তোমার
সময় সাজাও তেরোটি পার্বণে।
নাম দিলে যা মাস হয়ে যায়,
সংখ্যা ভেবে সাজিয়ে নিলেই ঘড়ি।
বছর ভেবে চরিত্রকেও
ঋতুর মতো ছয় দিয়ে ভাগ করি।
দুর্গাপুজো, দোল, দিওয়ালি,
ক্রীসমাস ও ঈদ-বারো মাসেই সামিল।
ভালোবাসার ভাগশেষে স্রেফ
জন্মদিনে দাঁড়িয়ে থাকি আমি।