অ নু বা দ ৩
আমন্ত্রণ (Invitation)
আহ্বান করছি আমার আহার গ্রহণে, প্রিয় রাত্রিভোজন!
আগামীকাল এসো এটা আরও সুস্বাদু লাগবে
আর পরশু আরও ভালো!
যদি তুমি এখনও আরও চাও— আমি তৈরি করব,
অতীত অনুপ্রেরণা থেকে গ্রহণ করো সেটা,
খাদ্যকে ব্যবহার করো চিন্তাকে খাদ্যে বদলানোর জন্য।
আমার আনন্দ (My Happiness)
যেহেতু আমি খুঁজতে গিয়ে ভঙ্গুর হয়েছি
আমি অতঃপর নিজেকে খোঁজে রত থাকতে শিখিয়েছি।
যদিও এলোপাথাড়ি ঝড় আমার জাহাজকে মাতিয়েছে
আমি সামনে ভেসে গিয়েছি সব ঝড় সঙ্গে করে।
উচ্চতার মানুষেরা (Higher Men)
সে উচ্চতায় ওঠে— তাকে আমাদের প্রশংসা করা উচিত!
কিন্তু সেটা সবসময় উচ্চতা থেকে আসে!
প্রশংসায় অভ্যস্ত হয়ে সে নিজের দিনযাপন করে,
সে আদপেই সূর্যরশ্মি!
Ecce Homo
হ্যাঁ! আমি এখন জানি কোথায় এসেছি!
আগুনের মতো অতৃপ্ত
আমার উজ্জ্বল শিখা আমাকে অপচয় করে।
সবাইকে আলোকিত করেই আমি থামি,
সবকিছুকে পুড়িয়ে ছাই করে আমি ছাড়ি:
আমি যথাসম্ভব একটি শিখা!
আমার সঙ্গে চলো-নিজের সঙ্গে চলো (Vademecum-Vadetecum)
আমার ভঙ্গি আর ভাষা আলাপ করে তোমার সঙ্গে।
তুমি অনুসরণ করো আমাকে, অনুধাবন পর্যন্তও করো?
তোমার আপন সত্তার তাগিদে আর সত্যি অর্থে:
অবশ্যই আমাকে অনুসরণ করো, কিন্তু অল্পবিস্তর!
[টীকা: Vademecum শব্দটি একটি লাতিন শব্দ যার অর্থ ‘আমার সঙ্গে চলো’, যেটা ইঙ্গিত করে সেই বইটার দিকে যেটা একজন মানুষ সবসময় বহন করে চলে। Vadetecum নীৎশে প্রদত্ত কনসেপ্ট যার অর্থ ‘নিজের সঙ্গে চলো’।]
ফ্রেডরিখ নীৎশে ১৮৪৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন জার্মান দার্শনিক। ১৮৯০-এর সময়কালে তিনি খ্যাতিলাভ করেন একজন দার্শনিক হিসেবে, যিনি কবিতাও লিখতেন। অনেক ছোটোবেলায় তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন এবং সে-কবিতাগুলোকে দার্শনিক কবিতা হিসেবে মেনে নেওয়া যায়। তাঁর অধিকাংশ কবিতা প্রকাশিত হয়েছে তাঁর বিভিন্ন দর্শনের গ্রন্থে। তাঁর কবিতার সংকলন ‘ldyllen aus Messina’ ১৮৮২ সালে প্রকাশিত হয় তৎকালীন কোনো পত্রিকায়। ‘Dionysos-Dithyramben’ তাঁর একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য কবিতার গ্রন্থ। ১৯৯৮ সালে বৃহৎ আকারে সর্বপ্রথম তাঁর কবিতার সংকলন ‘Gedichte und Spruche’ প্রকাশিত হয়। এখানে আমি তাঁর দর্শন গ্রন্থ ‘The Gay Science’-এর প্রথম ভাগে যে-কবিতাগুলো আছে সেখান থেকে কিছু কবিতার অনুবাদ করার প্রয়াস করেছি।
শতানীক রায়
অনুবাদক