বাং লা দে শে র ক বি তা
বউ, আপাতত আমার তিনটিই।
নৈঃশব্দ্য খাতুন ও নৈরাশ্য বেগম;
ভোর হতে না-হতেই শুরু হয় তাদের চুলোচুলি, ঝগড়া।
ফলে আমি চুপি বিষণ্ন দেবী’র ঘরে ঢুকে
খিল এঁটে দিই।
তো, এখন
আমার কান্না পড়শী’রা কেউ শুনতে পায় না।
‘ঘুঘু’ লিখলাম, ঘুঘু হয়ে গেলো, আর উড়িয়ে দিলাম
যদি সে কোনো একটা বনঘুঘু ধরে আনতে পারে
এমন আশায়, বিকাশগ্রস্ত বিকালের তটরেখায় বসে আছি
কিন্তু, পালক খসে পড়ছে হতাশার ঝোড়ো আঘাতে
বর্ণ ও অক্ষর আলাদা হয়ে পড়ছে কেবল
শিকারির উচ্চাশা যতোই লোভী হোক
যৌক্তিক সময়ে একটা সন্ধ্যার ট্রেন তো আসতেই পারে
সময়ের মার্জারি ভেঙে ভেঙে আমাকে গন্তব্যে পৌঁছে দেবার জন্য
তো
আমি ‘আকাশ’ লিখলাম আর চড়ে বসলাম তার কামরায়
এই দেখে কেউ আমাকে ভ্রমণপিপাসু ভাবতেই পারে
কিন্তু ক্ষুধার্ত যে সেই জানে খাদ্যের জন্য একটি পিঁপড়েও কতো কী করে
তথাপি ক্ষুধার্ত আমি সকল নিয়ম ভেঙে, ভেঙে পড়লাম
তোমাদের ভোজ-সভায়…
আর তোমরা তখন আমার ঘুঘুর মাংস সামনে নিয়ে বসেছো,
কুৎসা সহযোগে
ভোজন-বিলাস কিছুটা কলহাস্যেই হয়!