Hello Testing

4th Year | 3rd Issue | June-July

৩০শে আষাঢ়, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | 16th July, 2023

প্রচ্ছদ কাহিনী, ধারাবাহিক গদ্য, ছোটোগল্প, গুচ্ছ কবিতা, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, স্বাস্থ্য, ফ্যাশান ও আরও অনেক কিছু...

অ নু বা দ  ১

রা জী ব   চ ক্র ব র্তী

অক্তাভিও পাজ-এর কবিতা

শেষ ঊষা

তোমার চুল হারিয়ে গিয়েছে এই বনে,

পায়ের শব্দ ছুঁয়ে যাচ্ছে নিয়ত আমায়।

 

ঘুমন্ত তুমি রাত্রির চেয়েও বড়ো,

তবু স্বপ্নগুলো এই ঘরেই হেঁটে বেড়ায়।

 

আমরা কে কতো বড়ো কেই বা ক্ষুদ্র কতো!

 

প্রেতেদের নিয়ে

ট্যাক্সিটা চলে যায়।

 

বহতা নদীটি

পিছু হটে অবিরত।

 

আগামীকাল কি বদলাবে দিন, জানো?

 

সাবুদ

সূর্যালোকে পান করে কেশরী তরল

তার দু’টি চোখ যেন উড়ন্ত হরিণ।

 

নির্মম সে স্রষ্টা, তাকে হেলায় হারান,

বিস্ময় জাগে তবে, তিনি কি দৃষ্টিহীন?

 

এ বিস্ময় নেহাতই অন্ধত্বের নয়:

এই নারী বস্তুতই তরঙ্গবল্লরী।

 

বুদ্ধের নিদান তাই এখানে সাবুদ,

ব্রহ্মান্ড নিজেই সৃষ্ট, প্রকল্পবিহীন।

 

সেতু

এখনও এই মুহূর্তের মাঝে,

আমার ও তোমার মাঝে,

এক ঝুলন্ত শব্দের নাম হলো সেতু।

 

ওখানে দাঁড়াও,

তুমি ওখানে দাঁড়াও:

পৃথিবীর সাথে যুক্ত হও

বলয়ের মতো ঘোরা বন্ধ করো।

 

এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে

রামধনুর মতো টানটান ধরে রাখো তোমার শরীর,

যেন তার বিস্তীর্ণ বাঁকে

আমি ঘুমিয়ে পড়তে পারি নিরন্তর।

 

অস্বচ্ছতার বহির্গৃহ

ওগো লাস্যময়ী

পারিজাত গাছের মতো তুমি মেলে আছো মুখ ওই সূর্যের দিকে

 

আমার খোলা পাতার ওপর

                পড়েছে কি কোনোদিন

                           তোমার নজর?

 

তোমার অনন্তলাস্যে

           বশীকরণের অসীম ক্ষমতা

                                   মিশে আছে।

 

তবুও বিস্ময় জাগে, ক’টি কবিতাই বা 

তোমার জন্য লেখা হয়?

কতজন দান্তে-ই বা বলো তোমার জন্য

               কবিতা সাজায়, বিয়াত্রিস,

 

যেখানে তোমার যত দমিত বিভ্রম

কিম্বা রহস্যেরা খুঁজে পায়

                            স্বাধীন আশ্রয়।

 

একটি কবিতা

                                 হাওয়ার বাঁশি

ছাইয়ের গাছে

                                  আলোছায়ার

ঝর্না নাচে

                                    জলের কণ্ঠ

উচ্ছ্বাসহীন

                                     প্রতিধ্বনি

হাতের ভাঁজে

অক্তাভিও পাজ এর জন্ম ৩১ মার্চ, ১৯১৪ সালে মেক্সিকো শহরের  একটি রাজনৈতিক পরিবারে। মেক্সিকোর বিপ্লবের পর তাঁরা সপরিবারে লস এঞ্জেলিসে চলে আসেন। পরবর্তীতে অবশ্য আবার ফিরে যান স্বদেশে।

পাজ-এর কবিতাকে প্রভাবিত করেছিল মেক্সিকো, ইউরোপ ও স্পেনের কবিদের লেখনী।

১৯৩৭ সালে স্পেনের গৃহযুদ্ধের সময় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকের সাংস্কৃতিক শাখার আমন্ত্রণে তিনি স্পেনে যান ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি প্রভাবিত হন সুররিয়াল কবিগোষ্ঠীর সঙ্গে।

পাজ কর্মসূত্রে ফ্রান্স (১৯৬৯) ও ভারতে (১৯৬২) মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হলে এখানকার হাংরি আন্দোলনের সঙ্গেও পরিচিত হন। উল্লেখ্য, প্রতিটি দেশ ও কাব্যধারাই পুষ্ট করেছে তাঁর কবিতাকে।

১৯৯৮ সালে মৃত্যুর কিছুকাল আগে (১৯৯০) তিনি সাহিত্যের জন্য নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। তাঁর কয়েকটি কবিতার অনুবাদ এখানে করা হলো ইংরেজি অনুবাদ থেকে, যেগুলি তাঁর সুবিপুল রচনাসম্ভারের বিচ্ছিন্ন কিছু নমুনা স্বরূপ বলা যায়।

রাজীব  চক্রবর্তী

অনুবাদক

আরও পড়ুন...