ক বি তা
তাকানো যেত নদীর জলের স্নানদৃশ্যে
একটা গোপন তিল দেখার আনন্দে
নিতম্বে দোদুলি খেত পাখির বাসা
সাপের চেরাজিভের ফাঁকে
ডুবে যেত মৌতাতি পৌরুষ শ্বাস।
একটা শুদ্ধদৃশ্যের লোভে
গমক্ষেতের পাশে বসে থাকা যায়
হাওয়ার দোল খাওয়া গাম্ভীর্য দেখে
শিশির সকাল শরৎকাল বুনে খায়।
কে জানে ময়ূর পেখম মেলে
সৌন্দর্য দেখাতে না রাগের বহিঃপ্রকাশে
সুনামির ফুলে ওঠা জলে
সাগর নিজেকে ধরে রাখবে কোন সাহসে?
অনুভূতি ব্যাঙাচিছানা রং তুলির নানা ক্যানভাস
একটা লম্বা ব্যথার উপর দাঁড়িয়ে পাংচার হৃৎপিণ্ড
অ্যাশট্রেতে সিগারেট টুকরো
পরিযায়ী অতিথি নিয়ত খুঁড়ছে মৃত্যু…
কফির ধোঁয়ায় মিশে থাকছে ভাবনা
চুমুক রগড়ের ক্লোরোফিলে
স্রেফ আপোষে পাপোস উচ্চারণ…
শুকনো পাতা পায়ের নিচে মড়মড়িয়ে বাজে
জঙ্গলে রোদ্দুর মাখে কত জন্তু।
আগুন লাগা ডালপালায় সহ্য হয় না উত্তাপ
প্রাণভয়ে দিগবিদিক ছোটে কত প্রাণ।
হাজার লক্ষ বছরে কাঠকয়লা কার্বনে জন্ম হবে হীরা
ফলের লোভে রাষ্ট্র নেতা রাজনীতি মৌনব্রত খেলে
দাবানলের নামে পুড়ে মাইলের পর মাইল
নির্বিকার খুনে
সরীসৃপ অনুভূতি শীতঘুমে গভীর সুখ পায়…
নাভিমূলে রাষ্ট্র রহস্য প্র্যাকটিস করতে থাকে
ও দিদি ও দাদা এভাবেই বড়ো হও
কারখানা চিমনির মুখাগ্নি তানপুরায়
বাজ্ বাজিয়ে মেঘ চলেছে মহাকালে…