ক বি তা
আমি চোখের সামনে
একজন কবিকে
খুনী হয়ে উঠতে দেখেছি৷
আকাশে মেঘ ঘনিয়েছে,
তার থেকে টপ টপ করে
পড়ছে রক্ত।
আমি চোখের সামনে
সেই রক্তের পাখিকে আবার
আকাশে উড়তে দেখেছি৷
বাদামপাহাড় থেকে পরিরা নেমে এসে
কতোদিন আগেই তো
বিকিয়ে গিয়েছে
মুঠো মুঠো।
কেন তবু বিপ্লবের স্বপ্নে মাথা রাখো?
তুমি কি জানো না,
তলিয়ে গিয়েছে বেলাভূমি,
বন্দরপ্রয়াস?
আজকাল শহরের পথে দ্যাখা হলে
পরস্পরের দাঁত নখ ফুটে ওঠে
কত অনায়াসে!
বহু বহুদিন ধরে
চোখের তারায় আর
ভুজঙ্গ নাচানো হয়না।
আমি একজন কবিকে
চোখের সামনে,
ক্ষমতায় পুড়তে দেখেছি,
সেলাম ঠুকতে দেখেছি,
খুনী হয়ে উঠতে দেখেছি –
জীবনে একজনও তাকে
কবি বলে ডাকেনি বলেই।
তোমারও আঠেরো ছিলো রাধা,
দু’বিনুনি কবিতানিচয়
তিনরাস্তা মোড়ে ঝালমুড়ি,
আর সন্ধ্যা প্রতিশ্রুতিময়।
সন্ধ্যা পালাতে গিয়ে রোজ
ঝাঁপ দিতো শহরের বুকে;
আমি হয়ে ঘনশ্যাম মেঘ
তোমার প্রতিমা দেখি ঝুঁকে।
ঝুঁকিপূর্ণ সময় তখন
খেলে যেতো মধুবৃন্দাবনে,
সোয়া পাঁচটা ডাউন লোকালে
তুমি যেই নামতে স্টেশনে।
স্টেশনে সহস্র কীর্তন
হকারে পাগলে ভেন্ডারে –
তোলে আমাদের নামগান,
ঢেউ ওঠে যমুনার পাড়ে।
ঢেউ ওঠে, ঢেউ অস্ত যায়
শ্রীরাধা, তোমার বনমালী
আঠেরোতে আটকে আছে আজো,
তোমারই বয়েস বাড়ে খালি।।