ক বি তা
কখনো বা একটা সূত্র থেকেই জন্ম নেয়
উদাসীন উপত্যকা। ঘাড় ও হাড় ভাঙা তথ্যের
খাটনি থেকে দিব্যি একটা মুক্তির হাওয়া,
একটা শুদ্ধিকরণের হাতে গরম লুকোচুরি,
তারপরেই জীবনের রাস্তাঘাটে প্রতিযোগিতার
ভর্তুকি সকাল। এরপর এক একটা লাইনের কোমরে
ভর করেই আস্ত বেলাইন হয়ে যাওয়া দেখেও
কিছু বলবার নেই, কারোর ছাদে এখন রোদ ফোটানোর
উপকরণ নেই, মাটিতে ঘামের সব পালাবদলও খরচের খাতায়।
এক একটা যাত্রাপথ থেকেই রোজ খাবি খাওয়া
মাছেদের ধরে আনা, এ যেন অলৌকিক ভূগোল
রচনা। বলা যাবে না কোন সালোকসংশ্লেষের
দেওয়ালে জ্যোৎন্সা লেগে থাকে, অথবা কোনো উপত্যকার
গভীরে এখনও চাঁদ জন্মাবার জন্য রচনা করে
আপেল বাগান?
এখান থেকেই যতদূর চোখ যায় ততদূরই ঝাপসা
ঠিকানার ভিতর। এখনো শরীরের ভিতর কোনো
নেশাখোর শেষ বেঞ্চের উপর বসে একাকিত্ব লেখে।
এই তো দিব্যি জামা, ঘামগন্ধ, বগলে নিজের
বসন্ত চিহ্ন, শ্বাস পড়ছে, আঙুলের ডগায়
যোনি মুদ্রা, ব্রহ্মা না হলেও আমি কিন্তু রম্ভাও নয়।