ক বি তা
নিস্তারিণী মন্দির থেকে যে রাস্তাটা সোজা চলে গেছে
সেখানে আক্কেলজ্ঞানহীন ভাবে বৃষ্টি নামে
তোমার হারানো ছাতা পেয়েছো কি খুঁজে !
কার দেওয়াল ঘড়ি ভেঙে সন্ধে নামে আজ নীল খই ফুলে।
অপেক্ষায় ফিরে যায় যদি
নিস্তারিণী দেবী তুমি ওর হারানো ছাতা ফিরিয়ে দিও অলৌকিক হাতে।
সুযোগের সদ্ব্যবহার বোঝে শিকারি বিড়াল
প্রবেশ নিষিদ্ধ জেনেও রান্নাঘর থেকে লাফ দিয়ে
চলে যায় ড্রয়িং রুমে।
বৃষ্টিও চতুরতা জানে তোমাকে ভেজাবে বলে
আমাকে রেখেছে তীব্র যানজটে।
সেই ভোর ভেঙে বৃষ্টি হচ্ছে
টাইপরাইটারের শব্দের মতো অবিরাম
টিনের চাল বেয়ে জল পড়ে ভেসে যায় আরোগ্য নিকেতন।
ভিজে যাচ্ছে জবা
পঁচিশ বছর আগে ঠিক এভাবেই ভিজে যেতে দেখেছি তোমায়।
কদমফুল থেকে ঝরে পড়া রেণুর মতো বৃষ্টি।
সেই দিনই প্রথম দেখেছিলাম ভিজে যাওয়া গোপন জড়ুল
ধুয়ে যাওয়া চুম্বন চিহ্নের কাছে বিষণ্ণ সন্ধে।
তারপর যতবার গিয়েছি আরোগ্য নিকেতন
কদমগাছটিতে কোনোদিন ফুল ফুটতে দেখিনি।