ক বি তা
রাস্তা জুড়ে বস্তিপাড়ার ভাটিখানা পাশে সুউচ্চ অট্টালিকার সারি দেখে মনে হয় নরম বালিশ ভেতরে অসার শুকনো ঘাস তবু তো স্বপ্ন জাগে
ওঠানামা করে জোয়ার ভাটা রঙমাখা বোবা আকাশের দৃষ্টিতে মন জাগে বারবার ফুটপাথ সুরে
অসমান দেহ- মনের গোপন দুয়ার ধনীর মখমলে চাদর বৃথা হাসে ঘাসের চাদরজোড়া আদরের আবদার দেখে গরিবের চন্দন ফোঁটা
মাটির মায়া ঝুরো গল্পের মত ঝরে ফুলের শেষ শয়নে। হিসেব করে পিছোয় সে মখমলি মতলবি
ভাইরাস হাওয়ায় যখন শব ভেসেছিল পৃথিবীর দরজায় সাথী ছিল মানুষের বেহিসেবি মন
বিরহী পুরুষ ও বিশ্বাসী সীমানার বেইমানি রঙ ঘেসো আলপথের মত ভেঙে তৈরি হয় অতৃপ্ত বিছানা
ভালোবাসার রাস্তা ও মৃত ময়ালের অতৃপ্ত খিদে
আলাদা করে গিঁট দেওয়া প্রেম ও প্যাঁচালো কাম
পথে পড়ে ভুখা যিশু কতশত সাদা চাদর ঢাকা একমুঠো মাংস
কুকুর সেঁধিয়ে যায় খুবলে নেয় উপোসি রক্তশিরা
মর্গের মাতাল ছেলেটার মতো সুন্দরীর মৃত যোনির লোভে পিশাচ ঘুণপোকার সমাজ
ভীষণ লোভ শরীরী ভাষায় এলোমেলো ভাঙাচোরা প্রেম শুধু বোঝে খিদে, নরম বিছানার নাম জানে জীবনের শুরু আর প্রান্তিক শেষ সীমানায় ভেজে রক্তমাংস লাশ আর লোভের মিশ্রণ…