ক বি তা
মিথ্যার ইশারা তাকে পাঠাতে পারেনি কোনো ছদ্ম প্রশান্তির দেশে
প্রতিশ্রুত গোলাপের ঘ্রাণ তাকে করেনি স্বপ্নাবিষ্ট
সে শুধু বাস্তবের এক অশেষ মিছিলে হেঁটে হেঁটে
প্রতিদানে ফিরিয়ে দিচ্ছে কৈশোরের প্রথম নিষ্পাপ চুম্বনের স্বাদ
আজ যদি তাকে তুমি খোঁজো , যদি ফিরে পেতে চাও অতীতের
সহজ মায়ায় তবে তুমি জেনে রাখো বহুদিন
নিজস্ব স্বপ্নের ঘরবাড়ি আর নিয়তির কয়েদখানা
তাকে লুকিয়ে রেখেছে কোনো স্তব্ধ দুপুরের ভাঁজে অবিকল
আজ যদি তাকে তুমি ডাকো , যদি ফিরে পেতে চাও সমুদ্রের
ঢেউয়ের ফেনায় তবে তুমি জানো , তুমি শিখে রাখো
দৃশ্যের ওপর দৃশ্য গাঢ় হয়ে এলে কীভাবে
মেঘের শরীর বেয়ে হেঁটে যায় সন্ধের বেড়াল …
নাইন্থ সিম্ফনির কার্নিশ থেকে
ধূসর বিষাদের মতো নেমে এলো সন্ধের বেড়াল ,
নিজের ভেতরে ভিজতে ভিজতে মানুষটা এখন
একটা জলজ্যান্ত বর্ষাকাল ; খাপছাড়া শব্দের মতো
পাশাপাশি কয়েকটা জীবন যেন পঙক্তির প্রত্যাশায়
আশ্চর্য ফানুসের মতো একটি পরিত্যক্ত ব্রিজের
আগল ছেড়ে উড়ে যাচ্ছে মহাশূন্যের দিকে
আর এইসব দৃশ্যক্রমের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে
আমার জীবন ক্রমশ একটি জগদ্দল পাথরের নিয়তি
পাত্রের পানীয়তে মিশে যায় তোমার ঘৃণা ও ভালোবাসা
আমি নিজেই নিজের রক্ত পান করতে থাকি তারপর