ক বি তা
বাড়ির ফটকে বড় একটা গণেশ মূর্তি,
হতেই পারে
ভিতরে বাস করছে এক ধর্ষকামী মানুষ।
দেওয়ালে সাজানো যত্নে কোনো মসজিদ,
হতেই পারে
প্রতিদিন মাথা ঠোকে কোনো খুনি প্রতারক।
দেওয়াল লকলক করছে নগ্নমূর্তির সভায়,
তুমি আসলে
দেখতে পাচ্ছ না।
জানালা দিয়ে ভেসে ভেসে আসে যোনি গন্ধ
তুমি
ঘ্রাণ হারিয়েছ।
উত্থিত কামাতুর দণ্ডটি ঢেকে রাখতে
আমি
কখনো ধূপ জ্বেলেছি, কখনো ছড়িয়ে দিয়েছি আতর।
একইসঙ্গে বইতে থাকা দু’টি নদী আলাদা করে নিয়েছে নিজেদের
দিক পরিবর্তন করে নিচ্ছে ঝোড়ো হাওয়া
ধার-বাকি শোধ
একটু আগে লেপ্টে থাকা দু’টো শরীর
এখন দুই পিঠে ; সম্পর্কহীন।
সিগারেট-কাউন্টার কাড়াকাড়ির দিন গত
বন্ধু-বিচ্ছেদের গল্পে বন্ধু লুকিয়ে চোখ রাখে
ছোপ ছোপ দাগ ভর্তি আয়নায় –
হাসিমুখ হায়নার মতো দেখে।
চেনা পথ; আবাল-বৃদ্ধ-জনতা
পেট ছিঁড়ে বেরিয়ে আসে ছেলে
মাথা আর মন – মিললে মিশ্র পদার্থ – সহজেই আলাদা হয়ে যায়
সময়ের কাছে ধার করা জীবনে জমে যায় ঘৃণা, দ্বেষ।