Hello Testing

4th Year | 2nd Issue

৩১শে বৈশাখ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | 15th May, 2023

প্রচ্ছদ কাহিনী, ধারাবাহিক গদ্য, ছোটোগল্প, গুচ্ছ কবিতা, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, স্বাস্থ্য, ফ্যাশান ও আরও অনেক কিছু...

গু চ্ছ  ক বি তা  ৫

ত মো ঘ্ন   মু খো পা ধ্যা য়

দাহ

আকুল গাছের মতো বোবা পরিবার ছুঁয়ে থেকে
হাতপাখা নেড়ে বলি, সুখটুকু খাও শেষপাতে।
সামান্যই আয়োজন, লাজুক স্বভাব দূরে রেখে
খাও বুড়োটির দেহ। ধীরে ধীরে খাও মাঝরাতে।

পা থেকেই শুরু করো। লোভনীয় ওগুলোই বেশি।
ক্রমশ ওপরে যাবে। গলা খাবে তারিয়ে তারিয়ে।
ঢিমে আঁচে ফুটে ফুটে নরম হয়েছে হাড়, পেশি;
সবটুকু খেয়ে শেষে মাথা খেয়ো খোলাটি ছাড়িয়ে।”

আগুন অতিথি, তাই সবটুকু রাঁধা-বাড়া ক’রে
নারায়ণসেবা হেতু মায়ের স্বামীটি ভোগ সাজে।
আকুল গাছের প্রিয় শেকড় ফুরিয়ে গেল ভোরে।

চারপাশে বহু চোখ; কুমিরের জল মাঝে মাঝে…

pujo_16_sketch2

লেখাসংসার

এতদিন যা লিখেছি, সমস্ত ইঁদুর হয় রাতে।
দাঁতগুলো বিরামচিহ্ন। পাতা কেটে ধীরে ধীরে উঠে আসে
বুড়ো খাটিয়ায়। খাটিয়ায় আমার দেহ, পাশে বউ, মাঝখানে
পুতুলটি জিয়ল। সারাদিন কাঁটার লোভে এত বেশি লেজ ঝাপটাই,
রাতের সমস্ত লোম দেহ থেকে বেড়ালগন্ধ তোলে।


লোভবাতি দপ্ করে জ্বলে ওঠে ইঁদুরের চোখে।
নিমেষে পুতুল শেষ, অতঃপর ঘেমো মার্জারী।
তারপর পা, শিশ্ন, পায়ু, পেট, বুক, পিঠ, কাঁধ, গলা, মুড়ো…

শুধু দু’টো হাত ছুঁতে দুমড়ে গেল ওদের চোয়াল।

দু’তালুতে বসে আছে, দুই বুড়ো জেন সন্ন্যাসী।
অযুত বছর ধরে দু’জনেই দেবোপম চুপ…

ভোরের মরচে ঝরে। পিঁপড়ে নাচে ইঁদুরের শবে।

pujo_16_sketch2

বিপ্রতীপ

একটি পুতুল কাঁদে শিশুদের হাসি খাবে বলে

চাষার পাঁজরে পেটে হরপ্পার মাটি
লাঙল চালিয়ে শেষে তুলে ধরে রাজনের হাড়

বেশ্যা আগল খুলে টাকা দিল খদ্দেরের হাতে–
গ্রীবার শ্বেতীটি খুশি দশক পেরিয়ে এক
অব্যর্থ চুমুর শিকারে

পেঁয়াজ আস্তে আস্তে ছাড়িয়ে ফেলছে
রাঁধুনির খোসা। চোখের কুহক থেকে নেমে আসে

শ্লেষ্মার ঝাঁঝ

যীশু একটি মৃত কাঠ। আমরা ক্রুশের অভ্যুত্থান চেয়ে
লুব্ধকের লেজে বেঁধেছি

মানতের ঢিল

pujo_16_sketch2

অন্ধ

দু’খণ্ড কাঁচের ঠিক মধ্যিখানে শুয়ে ডুগডুগি বাজাচ্ছি
যেন কত রং-বেরং শব্দ হয়ে যাবে
দু’পুরুষ ফোয়ারা মাখছি ভরদুপুরে কুয়োতলায় বসে
যেন মাথার মধ্যে ফড়ফড়িয়ে পায়রা উড়ে যায়…
পায়রা ওড়ে, দু-তিনটে চিল, আকাশ যেন কী রং বলেছিলে?
ওই বোঝো পদ্মবাচ্চা, ওই বোঝো শালুকবাচ্চা
পুকুর মাইরি ঢিল পড়তেই গোল হয়ে তুমুল নেচে দিল

ইদানীং বাইরে যাই না, ইদানীং ঘরে যাই না
ঘরে ও বাইরে কালীর চামড়া দেখি শুধু
অনন্ত বাঁধাই করতে আঠা-কৌটো এত বেশি ফুরোল
আর কোনো সংস্করণ বের করার সাহসই হল না

ইদানীং দুয়ারে শুই না, রতিও বাদামি পাতা
একা একা বড়ছেলের সেবা করি সারারাত্রি জেগে

কথকের মুখ বেয়ে ব্যাটা-বেটি-নাতি-পুতি
টেনে নিয়ে গেছে শেয়ালেরা

নীলাভ যুবক ওই বালিঘড়ি উলটে দিল ফের

pujo_16_sketch2

হনন

—আহ্লাদ! আহ্লাদ করো! বঁটিগাত্রে কাটো মাংসফল!
—শিশুহত্যা? ফের পাপ? ফের বিষ? ফের নাভিশ্বাস?
—আহ্লাদ! দেহের বাষ্প কচুকাটা! উল্লাস! উল্লাস!
— অমাবস্যা। দেহছিদ্রে মদ, রক্ত, বায়ু, বীর্য, জল।
— থেমেছ? কীসের জন্য? কুড়ুল মুঠোয় সন্দিহান?
—কোপাও সূর্যের স্তব, কোপাও আদম-মুণ্ড, ইভ।
—অসম্ভব! অসম্ভব! প্রতি সত্যে ছিঁড়ে যাচ্ছে জিভ!
—যাচ্ছে, যাক! যাচ্ছে, যাক! অন্ধ হোক শব্দহারা গান।
—সঙ্গমে ঘোটক ধন্য, জঙ্গম হাড়ের মজ্জা, নীল।
—পতঙ্গ হোমাগ্নি খায়, সঙ্গে খায় কৃতঘ্ন বালিকা।
— নিজ রক্তে স্নান, কান্না; দেহ ধুচ্ছে প্রোষিতভর্তৃকা।
—রূপ মূর্খ, মূর্খ শোক; খুঁটে খাচ্ছে প্রিয় পোষ্য চিল।

—আহ্লাদ! জল্লাদ ডাকো! বৃত্তকেন্দ্রে কাটো মাংসফল!
—কাটা মুণ্ডু গ্রহঘূর্ণি। কক্ষপথে জল ছুটছে! জল!

 

আরও পড়ুন...