বাং লা দে শে র ক বি তা
কুকুরটা পোয়াতি ছিল,
পেটটা কেমন মোটা আর নাদুসনুদুস ছিল,
জরায়ুর ভেতর লেপ্টে শুয়ে ছিল চার, ছয় কিংবা আটটা বাচ্চা।
গতকালও এমন নড়াচড়া করছিল ওরা পেটের ভেতর
মাদি কুকুরটা অদ্ভুত এক প্রশান্তি নিয়ে অনুভূতিটুকু উপভোগ করছিল;
বাচ্চাগুলো পেছন পেছন তিড়িংতিড়িং লাফাবে এমন দৃশ্য স্বপ্নে দেখেছে অসংখ্য রাত।
আর দু’এক সপ্তাহ মাত্র;
আর ক’টা দিন পরই চোখ না ফোটা বাচ্চাগুলো অন্ধকারেই খুঁজে নিতো মাতৃস্তন;
আহা! কি তৃপ্তি…
স্তন!
ভয়েই শিহরে উঠে জ্ঞানহারা মৃতপ্রায় মাদি কুকুরটা!
রক্তস্রোত এখনও সারা রাস্তায় …
ওরা এত বীভৎস কেন?
স্তন কিংবা শরীর এসবের বাইরের সে ছিল মা,
যোনী কিংবা মাদি এর বাইরেও সে ছিল পোয়াতি।
প্রতিটি আঘাতে শুধু সন্তান বা শরীরের মৃত্যু হয়নি হয়েছে মা শব্দটার মৃত্যু।
মা, পোয়াতি কিংবা জন্ম,
কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়া এই শব্দগুলো আজ আর তেমন ভাবায় না;
উত্তর-দক্ষিণ পূর্ব-পশ্চিমে স্তন-শরীর মানে মাংস;
স্তন শরীর মানে উল্লাস,
আর মাংস মানেই হায়েনার থাবা।
মৃন্ময় লতায় কচিপাতা সাজ,
দেখেছিস আঙুল ছুঁইয়ে?
কতটা রক্তে নিস্তব্ধতা আসে?
ঘেমে উঠে শিশির নিষিক্ত মাটির ফাঁকে,
পোড়া ধূপের গন্ধে বিষাক্ত ছোবলে
কৃষ্ণচূড়ায় ভাসে কায়া;
ফাগুন ছোঁয়া জলরঙে আঁকে ক্যানভাস,
ঘুমন্ত প্রজাপতি গুমরে কাঁদে;
কুমোর গড়ে দেবীমূর্তি কামাসক্ত হাতে!
ভালবাসার উষ্ণতায় দেব-নটরাজ!
কলাপাতায় মোড়ানো আবেগ,
কিছুটা ভুলে বরফ গলে হয়ে উঠে নিশ্চুপ নদী;
কাগজের পোঁটলায় আড়াল খোঁজে মন খারাপের শহর।