ক বি তা
এত ক্ষয় নিয়ে প্রাচীনমুদ্রার মত জেগে থাকি রোজ
দেড়খানা বিস্কুট আর এককাপ বাদামি চা
আমাকে অনন্তের পথ দেখায় ;
ঝিকিমিকি তারা, উদ্ভাসিত অন্ধকার
নৈকট্যের ফাঁক গলে অন্য গ্যালাক্সির দিকে
চলে যাওয়া এই যে আমার সকাল বড় মায়াময়।
দৃশ্যের গভীরে জ্বলে ওঠে আলো
স্মৃতিকণা, টুকরো সম্পর্ক, বিরহের অধীরতা
সব আজ ভ্রমণের ঘোড়ায় চেপে বসবে ;
ঘাড় হেলিয়ে গতির লাগাম টেনে আমি তাতে
হ্রেষা দেব, উত্তেজনার পারদ…
রহস্য গাঢ় হবে, নিভৃতের টান
আলেয়া-বিভ্রম নিয়ে হেঁটে যাবে নিশ্চিত আগ্রহ ;
পিপাসা জলের কাছে, জল ধরে মরীচিকা
অঞ্জলি নির্ভুল না, শূন্যতায় ঝুলে আছে
আমাদের যাবতীয় শোক ও সন্তাপ। তবুও
ঘাম ক্লান্তি অন্বেষণ ছুঁয়ে ছুঁয়ে জেগে থাকবে ভ্রমণ
চন্দন গাছের নিচে আমি যে পেলবতা ফেলে আসি
তার সঙ্গে বাল্যপ্রেমের কোনো সম্পর্ক নেই ;
ধু-ধু মাঠ পেরিয়ে গ্রীষ্মের তপ্ত বাতাস
কার কাছে শীতলতা খোঁজে? সেকি লুপ্তপ্রায়
সভ্যতার গাঢ় স্নানাগার! পরতসজ্জিত এই
ধ্বংসাবশেষ আগ্রহ-আকুল করা শান্ত নির্মিতি !
আমি গূঢ় কোনো বার্তা নিয়ে চন্দন গাছের কাছে যাই
সেও কান পাতে অধীরতায়। মুহূর্তে জ্বলে ওঠে আলো
বল্কলের গাত্র থেকে সুগন্ধ ছড়ায় ; মধ্যরাতের চাঁদ
সেও পুলকিত বিভায় দেখে নেয় চরাচর ; আর
শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন থেকে নিঃশব্দে উঠে আসে চতুর কানাই।
শ্রীরাধিকার ঊরুসন্ধির পেলবতায় তখন জন্ম নেয়
নতুন একটা চন্দন গাছ।