ক বি তা
পুরনো সেসব কবিতা মৃদু, আলগা হয়ে আসে। গাছের পাতায় নৈঃশব্দ্যের শিশির জমে একা, শিশিরে খসে পড়ে ফাগুন বধূর জ্যোৎস্না মোহিনী টিপ। প্রতিটি গন্ধরাজ, মৃত গন্ধরাজ কবরে কবরে গন্ধ ছড়ায় নতুন সন্ধেবেলা।
আলগা একটা ঘাসের কাছে, নরম রোদের দগ্ধ ডানা বিশ্রাম নেয়। মাধবী এসে বসে, অঞ্জন তার পলাশ ফুলের রঙেই মাতোয়ারা।
বৃদ্ধ পাখি গান ধরেছে। নতুন পাতার গান। নতুন ঝড়ের ক্রুদ্ধ চোখে মেঘাঙ্গী মা-র গান। বৃদ্ধ পাখি শান্ত হয়ে গান ধরেছে। শ্মশান চিতার মগ্ন কাঠে ঘুমিয়ে পড়ে চাঁদ। বৃদ্ধ পাখি গান ধরেছে, নিমগ্নতার গান।
জেগে জেগে রাত
ভোর হয়ে যায় নিরুপম,
তোমার অক্ষত বেদনাদীর্ণ নদীর মত হৃদয়
অঝোর পিপাসা খুঁজে মরীচিকা অন্তরীপ সৃষ্টি করে পাহাড়ের নির্জন একাকীত্বে।
আমি কি তখন দেখেছি দামিনী,
দেখেছি হরিণী, দেখেছি কোমল-গান্ধার প্রীত শব্দ আসছে আমার কানে।
তুমি জেনেছিলে আর বলেছিলে সেই যুদ্ধের শেষে,
একদিন শান্তির জ্যোৎস্না নামাবে
চুম্ব-অঙ্গরাগে।