Hello Testing

4th Year | 3rd Issue | June-July

৩০শে আষাঢ়, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | 16th July, 2023

প্রচ্ছদ কাহিনী, ধারাবাহিক গদ্য, ছোটোগল্প, গুচ্ছ কবিতা, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, স্বাস্থ্য, ফ্যাশান ও আরও অনেক কিছু...

ক বি তা

শু ভা য়ু   দে

বৃদ্ধ তো নই

সুবর্ণরেখার মতো সিঁথে, একপারে যৌবন আর

আরেকপারে মিথ্যে। আমার বার্ধক্য নেই।

সহসা সমন জারি, “আমাদের আলো ফিরিয়ে দাও।”

যতটা সূর্যাস্ত ঘাটের থেকে তুলে আনা যায়,

সম্ভ্রমে রেখে দিই কাছে।

কাঁসর-ঘন্টা বাজিয়ে কাশীধামজীবনে

বাতি রেখে যাই একেক জন্মদিনে।

 

ও ভুবনমাঝি!

জলের স্রোত কেমন গো এদিকে?

এই পথ ধরে যাওয়া মানে কী মৃত্যুর দিকে যাওয়া

নাকি দ্বিতীয় জন্মের দিকে ধাবমান হওয়া?

সরীসৃপের মতো খেলা করে গেছে আয়ু।

বালিশের অন্তর্বর্তী তুলো একেক করে শুষে নিয়েছে দিন,

বিকল হয়েছে যন্ত্র।

 

তবু বলো, এই সেই মহামৃত্যুঞ্জয়!

আমি কিছুতেই ফুরবো না।

যতটুকু সজীবতা, পাথরের গায়ে উল্কি কেটে যাবো;

শিলালিপি ধরে রাখবে আমাদের বয়সের গাছপাথর।

 

আগামী জন্মদিনে, আমার বয়স এক বছর কমে যাবে।

 

ভূমিকা

ধোঁকাই তো!

জ্বরের পরবর্তী তিনসপ্তাহ জলপট্টি হয়েছিলে;

যেমন চেরাপুঞ্জির মাথায় বৃষ্টি ডোবানো রোদ।

সেই জলপট্টির জলটুকুই কর্ণগহ্বর ছাড়িয়ে, 

তোমার নামে যত অশ্রাব্য পরনিন্দা-পরচর্চা ভাসিয়ে,

কখন গঙ্গা হয়ে আরেক কান দিয়ে বয়ে চলে গেছে

কী জানি!

 

অথচ এমন তো কথা ছিলো না।

কথা ছিলো তুমি ব্যালকনির ধারে আমারই লেখা বই পড়তে পড়তে খালি পায়ে হাঁটবে রোটাংপাসে আর এলিয়ে পড়বে আমার প্রেমে।

ওদিকে উপন্যাসের মতো অসুখ নিয়ে আমি শুয়ে থাকবো বিছানায়।

আর সমব্যথী প্রবঞ্চকেরা বিছানায় ঘাড় গুঁজে খুঁজবে আলমারির চাবি।

আর ক্রমাগত নিন্দা করে যাবে, কান ভাঙাবে তোমার নামে।

 

তুমি সে সুযোগই দাওনি।

 

শুধু উপসংহার লিখলেই তো চলে না;

 

ভাবছি এবার থেকে জানলা বন্ধ করে লিখতে বসবো।

আরও পড়ুন...