ক বি তা
সারাদিন সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে
যোগ বিয়োগের ঐকিক নিয়মের খাতায় শুধুই ঋণ জমিয়ে যাচ্ছি!
তবুও আমার সময় আমাকে স্তব্ধতা দিয়েছে…
শুধু যখন রাতের শেষ তারা আমাকে বিদায় জানায়,
তখনই স্তব্ধ সময় আমার সাথে দাঁড়িয়ে
লাল পলাশের জন্মের সাক্ষী থাকে!
আমিও হেঁটেছি অনেক রাত, শহরের বুকে নয়
শুধু এক বিছানা ক্লান্তির সাথে!
যখন সেবার রাতে তোমার কান্না পেল…
নিঃশ্বাসের দূরত্বে থেকেও গাল পাতিনি তোমার জলে!
ভিজিয়ে নিয়েছি নিজের কোল ,
ভিজে রাতের একলা শুকতারা আমার জন্যই
সে রাতে জোছনা মেখেছিল!
অনেক ঋণের মাঝেও আমার ঈর্ষার সিন্দুক,
কিছু পলাশের জন্মে ঢাকা…
কিছু এক রাত কান্না!
ছাদের আলসেতে জমানো আছে সুসময়,
অপেক্ষায় এক অলস দুপুর
অথবা এক শহর জোড়া ধর্না!
শিমুলগাছের নিচে না হয় নাই পেলাম তোকে,
ভিড় শহরের কোন এক ক্লান্ত বাসের লাইন…
নাহয় আমার কাছে রাঙামাটি হল!
তাতে শিমুল বা পলাশের কিছু এসে যায় না।
কোথাও চুল উড়ে আসে মন কেমন করা হাওয়াতে,
কোথাও বা গতির তাচ্ছিল্য!
আমার কাছে এলোমেলো চুলের অভিমান মুখ্য
হাওয়া না হয় এবারে সাক্ষী দিল।
সারাদিনের ভণ্ডামির শেষে কোথাও একফালি কবিতা,
নাহয় সে অনামা কবির হোক!
তবুও শব্দ আমার হৃদয় জুড়ে…
কখনো আমি কখনো তোর চোখ!
ভাবনা আসুক আমার শহর বেয়ে,
উত্তুরে হাওয়া ঠিকানা খুঁজে বেড়াক!
দিনের শেষে বেহিসেব বেনিয়মে…
প্রেমের খানিক গোঁজামিল দরকার।