ক বি তা
দেখতে চাইনি কখনো ফুলের প্রদীপ; রাতজাগা আকাশের অন্ধকার উড়ে যায়— সে সুখ বাসা বাঁধে অস্তমেঘের নিচে—
এ পথের ধারে বেণুখালটি কচুরিপানা বুকে নিয়ে শুয়ে আছে ঝোপঝাড়ের গরিমায়— তার বুকেই হাঁস চরে এতকাল, তার কাছে যে জীবন খোঁজে— খুঁজুক; কেটে ফেলুক হলুদ কেশরীলতা— বোলমুখ থেকে সারি সারি ভুতভৌরি ফুটে আছে— আরো তৃষাতুর— তাকে দ্যাখে নি কেউ—
রতনকাকি ফুলগুচ্ছ খোঁপায় গুঁজে পেরিয়ে যায় অবিবাহিত সাঁকো—
মাটির ভিতর শুয়ে থাকা বিছেটির ঘুম ভাঙলে নদীটি শুকিয়ে যায়; শীতল পায়ের পাতায় শুরু হয় শব্দঝড়— পুরো ছয়মাসকাল শুয়ে থাকার পর এই স্নায়ু স্পন্দনে উড়ে আসে এক ঝাঁক কাক—
তাকে রাইচক বলে চিনি, নতুবা কোন সিঁড়ি নেই— পথের ধাপে বসে রতন বিড়ি টানে— তা ছাই হবে না কোনোদিন, চাকা বসে যাওয়া আহ্নিকে যতই হিজল পাতার বাতাস লাগুক, সুন্দরতম পায়ের ছাপের জন্য চুপচাপ বসে থাকার কোনো দর্শন নেই, গত সনে চোতকাকি যে গালে নিঃশ্বাস ফেলেছিল সেদিকে না হয় বুক পাতি, আর মিশিয়ে দিই অবাধ্য রোদ; ফরফরে বাংলা ক্যালেন্ডারটা কেঁপে উঠুক প্রথম বৈশাখে—