গু চ্ছ ক বি তা
১
ধার কমে আসে
এভাবেই একটু একটু করে মুছে যায় উপমার নাম
কুয়োর ভিতর গাঢ় শিস ফণা তোলে
চেবানো অন্ধকারে গুলে যায় আরও কিছু আরোগ্য সুফল
মজ্জার ফাটলে অবুঝ মেঘের উৎসেচক
কয়েকটি পূনর্জন্ম চেয়ে থাকে নির্নিমেষ গাছব্যথা নিয়ে
স্তন্য রতি পুঁজরক্ত মাখামাখি
বিকল আসনগুলি ধারণপ্রবল
উরুর ভাঁজে লুকোনো যত্নস্রাব মেনে নেয় সব অক্ষম অনুশীলন
২
এই যে ধারালো রতির রোদ
দিন এসে রক্তিম স্বপ্নদোষ আঁকে
ডানায় নেভানো আগুনের স্তব
বাদামি বোঁটায় অগুরুর শুকনো বলিরেখা
শরীর নেভায় যত ততটাই উদগ্র কামনা
এসবও কিছু নয়
ধীর কেঁপে ওঠা সঙ্গমলয়
ভোর খোঁজে কোনো অসমাপ্ত উদযাপনের আলো
নির্মাণের বীজের ভিতর সুপ্ত নদীর কারুকাজ
তথাগত সকাল বাসনা সাজিয়ে দেয়
মধুরস ফুটে ওঠে ছবির ওপারে
এসবও দৈবদোষ মনের জড়ুল
শান্ত চুপিসারে নিভে যায় উন্মাদ দুপুরবিহার
জন্মের কাছে পড়ে থাকে নিরাপদ রক্তবাহী স্মৃতি
৩
তবুও কোনো এক সহজের নাম
কোনো এক বৃষ্টির গভীর
কোনো এক দিঘির চুপকথা
জন্মপত্রে ফেলে যায় ছাপ
উষ্ণতর ওঠাবসা খোঁজে
চলমান পৃথিবীর ঘরে নক্ষত্রসংসার
তারাজ্বলা স্পন্দন মাংসের ভিতর
আয়ুর মতো যত্ন বেড়ে দেওয়া
আমাদের আঙুলপরব পাথরে এঁকে রাখে রাত
সেই সব বাসনাবিরহ
সেও সহজ এক সংগ্রামসকাল
সেও তো সহ্য এক আলোর অসুখ
নিরাময়হীন আমাদের আসঙ্গলীলা
৪
এই মুহ্যমান সময়ের ভিড়ে
কারা যেন ডেকে নেয় ভিতরের দিকে
কারা যেন ঢেকে দেয় চোখের সু্যোগ
শরীরে উঠে বসে অসংলগ্ন ক্ষতি
ছিঁড়ে খুবলে নেয় যাবতীয় একান্ত নিজের
জলরেখা চুপচাপ নিজেদের হয়
মিলন ও মায়ার ভাষা নিজেদের খুব
স্তনও চাঁদের মতো বিবর্ণ আঁধার ধার করে আলো
তবুও সে আলো নয়
নেহাতই কোনো দূরের নির্জনে সিঁথিমূল কেঁপে ওঠে
৫
সীমানার ঘাম নামে জঙ্ঘাজড়ুলে
অদৃশ্য মিলন তবু লালন জানে
সুর আর শব্দে ফেনার দাপাদাপি
হিমকোণে জেগে থাকে চাঁদ তারা গ্রহাণুর অপলক
আমাদের যত্নের ভিতর থেকে
সড়কের নিরাপদ থেকে
সেইসব সেতারের গ্রামে
আলোর বিরহনামা টিমটিমে শিখানাম
ভোরের গর্ভ থেকে শিশিরের লাজুক
আমাদের একান্ত সহজে এসে থামে