ক বি তা
ঘুরতে যাব না হয় এসো অরণ্যে
শরীর জুড়ে লুকিয়ে রাখা ফ্যান্টাসি
বীজাঙ্কুর জাগছে চির তারুণ্যে
লজ্জা ভেঙে শীত চলছে পরবাসী
পিগমি মেয়ে উল বুনছে টেকনিকে
কেউ কেউ তো মন জুড়েছে পিকনিকে
উনুন সালে রান্না করা তরকারি–
হোলির দিন ভগ্নপ্রেম, পিচকারি
না হয় তুমি আগুন জ্বেলো মোমবাতি
মাঠ পেরিয়ে আসছে কতো বসন্ত
ফেরার বেলা সন্ধে নামে গলন্ত…
গাছের গায়ে আটকে গেছে বাঁশপাতি
ঠোঁটের নিচে একটু ছোঁয়া উষ্ণতার
হারিয়ে যায় চিঠির খাম, দস্তানা
স্কচের নেশা মাতাল করা আস্তানা
হরিণ জানে আদিম সুর বন্যতার
প্রেম হারানো বিকেলগুলো ফিরবে না
ওজোন স্তর গিলে নিচ্ছে সর্বনাম–
স্ক্রুগেজ স্কেলে ঘুরতে থাকে মনোগ্রাম
ক্লান্ত রোদে মুছে যাচ্ছে কল্পনা।
আরোগ্য স্বর ফিরবে না আর জানি
মাথুর-বিলাস, কবিতার হাতছানি
হলুদ দুপুর; পায়রা ওড়ানো দিন
মর্মে বাজছে বিষন্নতার বীণ–
মানবজন্ম শ্যামলা নদীর জল
জং ধরা মন খোঁজে হিরণ্য ছায়া
বৃক্ষ শাখায় দোল খায় পাখি দল
জমিন পেরিয়ে চলে গেছে সব মায়া
পোড়োবাড়ি তার ধূসর শূন্য বেশ
স্মৃতি চরাচরে আত্মজনের ঘ্রাণ
ফেলে রেখে যাই বনময়ূরের দেশ
রহস্যময় শ্রাবণ রোদের গান–
আদিম গুহায় ঢুকে পড়ে ধূ ধূ মাঠ
তোমাকে পাঠাই বৃষ্টির নীল খাম
ধুয়ে মুছে যায় গ্রহতারাদের গ্রাম
মেঘলা বিকেল–শ্মশানের চিতাকাঠ।
মৃত্যু বড়ই জখম বাড়ায় বুকে,
ভয়ের আগুন পাথরের চোখ মুখে
ফেরারি জীবন শূন্যমার্গে ফেরা–
ঘুমের বেহালা জুঁই ফুল দিয়ে ঘেরা।