ক বি তা
মিছে ছাইখেলার মতো হারিয়ে যায় মেঘের বিকেল
এক-একটা জানলায় ফুটে থাকত গোলাপ
ঘরের ভিতর থেকে দেখি লোকটার উপচে পড়া জ্যোৎস্নার ঝুড়ি
সারাদিনের আনন্দ বেচে আসে পূর্ণিমার রাত
বহু বসন্ত পেরিয়ে গিয়ে জানলার ধারে বসি
চাঁদ আর সঙ্গে হাঁটে না, মেঘেদের গায়ে বাতাস নেই
সাধনমার্গ পেরিয়ে যায় রোদের চাদর
ঘামেভেজা সূর্যের দেহে কালো গহ্বর
তবে কি গ্রহণ শুরু হলে ছিঁড়ে যায় ঘাসের শেকল
শেষ অনুভূতিজোড়া শীতল চাদরে বিয়োগের চিহ্নজোড়া খাটের দেহে
চাপ চাপ মায়াজোড়া কান্নার ভিড়
দূর থেকে ভেসে আসে বিদায়ের শেষ কীর্তন
তোমার কিসের এত তাড়া?
একা একা একনাগাড়ে পেরিয়ে যাব পানশালার মাঠ
নদীর জলে তুলব হরেক ছলাৎ
গভীরের কত নাব্যতা
সবুর কর হে সখা
শ্যামসোহাগে কাটুক ক্ষণকাল
আজও আঁধার হাতড়ায় ভুখা মিছিল
একটু সবুর করো, সেবা করি, সেরে তুলি স্বপ্নের মিছিল,
এস মহামতি জীবক, ধার নিই মন, জ্ঞান, গরিমা ও সরল জীবন
এখনও মায়ের কোলজুড়ানো আলো
দেশে দেশে ছেয়ে যাক সেবাব্রতীর আলাপ
মন মদিরা ভরুক খুশির খেয়াল
এস শ্যামরায়, তুলে ধর পাহাড়
আশ্রিতজনের অপেক্ষার আড়াল
নেমে আসুক ভীম মহাবেগে নতুন সকাল
ঘরে ঘরে আঁক আলপনা
মন্দির, মসজিদ আর গীর্জার আলোয়
ভরে যাক জীবনের না পাওয়ার বিকেল
এস হে কবি
ব্রজবুলি কথা লেখো নক্সীকাঁথার জীবনপাতায়
তারপরও কি কালো মুখোশে
কালো জোব্বায় ঢাকবে সকাল
শিশির শিকল ছিঁড়ে নিয়ে যাবে না ফেরার শীতে
একটু সবুর করো
এত কীসের তাড়া
বাকি থেকে গেল কত অজানা গানের রাত