ক বি তা
বেঁচে থাকা এক আশ্চর্য তন্ময়
কখনো ধুলোপাড় নদীর মত
প্রে
ম
হী
ন
বিষণ্ণ মুখের কোনও অলৌকিক বাগান
যেখানে জংলা বকুল আঁচল বিছিয়ে রাখে
প্রতিটি অতীত সন্ধ্যার শেষে
শীত আর ফাল্গুনের গোল মধ্যিখানে
খর্বকায় মধুকূপী ঘাসের দিনগুলি
আসলে যে একেকটা সাদা রঙের থান
সেটা বুঝতেই আমার লেগে গেল
আস্ত জীবনের দুই-তৃতীয়াংশ বছর
এখন জানতে পেরে গেছি
লুকিয়ে থাকা অনাবাদী মাটির
ম
হা
কা
ব্য
জুড়ে যে বৃষ্টিশূন্য দিনের কথা লেখা
সে রুক্ষতার অপর প্রান্তে
উষ্ণ চাঁদের জোৎস্নাশরীর ঘিরে
জমে আছে গতিহীন বরফের চাঁই
পুণ্যবতী বিছানায় একটু করে জেগে ওঠে
দিকভ্রান্ত শীতের দীর্ঘতম রাত
আর, সোহাগী ভালোবাসাটির গায়ে লেগে থাকা
পুরনো এসেন্সের গন্ধ শোঁকে সংসারী প্রেমিক ।।
শোকভস্মে ওষ্ঠপুট ছোঁয়াতে পারলে
তবেই জ্বল্যমান মেঘ হওয়া যায়
তীক্ষ্ণ নখের ডগায় যারা বেদুইন সাজে
তাদের জন্যে মদিরাক্ষি আকাশ মেলে ধরে
শেষ বিকেলের সোনালি পাখসাট
বাকি সিদ্ধসময় জুড়ে আকাশ তো আগুনআখর
দু’হাতে জড়িয়ে থাকে সন্তাপের বিশল্যকরণী
দিগন্তের পরিত্যক্ত ধ্যানগুহায় বেঁধে রাখে
ধোঁয়া ধোঁয়া রোদবাষ্পের পাথর মায়াজম
এত যে আলোকিত শূন্যগর্ভ
যাকে উপাস্য সত্য বলে মেনেছি চিরকাল
অনন্ত উজ্জ্বলতার মায়াবী রূপটানে
আমাকে অষ্টমার্গের সন্ধান দিলে
বলো, কিভাবে সে স্পর্শসুখ উদ্ভিন্ন করি।।