ক বি তা
তোদের এলাকার পাখিগুলো কি ভালো নারাণ
বাইকের পিছনে বসে পাশের সাইকেল চালককে চোখ মারে
আমি সেদিন খালি পায়ে আদুল গায়ে হাঁটছিলাম
আমাকে শিস্-এর বদলে সিটি দিলো কী আশ্চর্য
সঙ্গে সঙ্গে শ্রী-র মতি ফিরে গেলো
যেকোনও ছুটি পড়তে বেসামাল অবস্থার সামাল দিতে একবার একটাকে
কাঁধে নিয়ে পৌঁছাতে চেয়েছি সেই ভালো বাসায় এবং
তোর মতো ভয়ংকর দরিদ্র হতে চেয়েছি
কিন্তু অনেকগুলো কেন চারপাশটায় এমনভাবে রং বুলিয়ে দিতে লাগলো
ডানা অনুমোদন পেলনা ঝড়ের
টানা বৃষ্টিতে প্রান্তর ধুয়ে গেল তা কারও কান্না কিনা বুঝতে
পাঁচ পাঁচটা বছর কালিদাস থেকে সন্দীপন পর্যন্ত
তবু বিশ্বাস কর বা না কর চরিত্র পাশে হীন জুড়তে আমার মন একদম প্রফুল্ল হয়নি
এমনকি শরৎ পোড়াচোখে নির্মল অভিযানের চেয়ে গম্ভীর স্বচ্ছতা এঁকে দিলো
যাক শোন মিছে কথা নয় গত সোমবার তোর খোঁজ করতে গেছি তোদের এলাকায়
একটা টুকটুকে পাখি ঠোঁট দিয়ে ঠুকরে ঠুকরেআমার ডান কব্জিতে ঘড়ি এঁকে একটা পালক দিয়েছে
যা রক্তে ডুবিয়ে আমি সময় পেলেই যেন তোর মতো বন্ধুদের জন্যে
ফাঁকির উড়ান লিখতে পারি…
আমি কমন্ডলুতে ছিলাম এখন পকেট ভর্তি
আমার বাপ-কাকারা বিশ্বাস করে না
তুমি তপোবনে ফুটে থাকতে আপাতত শপিংমল-এ পছন্দেরটা বেছে নিচ্ছ
তোমার মা-মাসিরা বিশ্বাস করছে না তাতে কি
ফেসবুক রটিয়ে দিয়েছে খুব শিগগিরি আমরা মিলিত হবো
সেকেলে ব্যাপার স্যাপার গুলো ইন্টারনেট বুকে করে আগলে রেখেছে রাখুক
বন্ধুর আধুনিকা দিদি ভ্রূ নাচিয়ে বলল- তোরা এগোচ্ছিস এগো
বত্রিশতলার ছোট্ট বারান্দার টবে একটা তুলসী গাছ রোজ জল দেন টুবাই এর ঠাকুমা
এটা ভাল লাগতে আরম্ভ হওয়ার পর এই প্রথম মহাভারত পড়তে পড়তে সিগারেট ধরেছি
আমি বিশুদ্ধ ছিলাম এখনও আছি পুরোহিত কালো গোসাঁই আজ সন্ধে থেকে সেটাও বিশ্বাস করছে না
কী আশ্চর্য আমি আগে নয়নতারা পছন্দ করতাম বলে তুমি ক্রিসেন্থিমাম হয়ে ফুটে উঠলেই দোষ
মানি না ওইসব শ্বাসরোধকারীদের যারা সংগঠনের নামে চাঁদা তুলে
দামী পানীয় হাতে ধর্মের পিন্ডি চটকায়
দেব না ‘এখানে প্রস্রাব করা নিষেধ’ লিখে কোন দেবতার ছবি আঁকতে
না ধ্যান করিনি আমি ঘুমিয়েছি পাহাড়ের চূড়ায় এখন ঢেউ এর হিসাব শেখাচ্ছি সমুদ্রকে
তা যে কেঊ অবিশ্বাস করলে করুক
তুমি বড় ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকিয়ে টিফিনের সময়টা আমার সঙ্গে কাটাবে বলে শিকারির মতো বেরিয়ে এলে
এই তো এসে গেছি তিনবার ঘাম মুছেছি মুখের ঘাড়ের এসো আগে সেল্ফী তুলে নিই তারপর
কবিতায় কেমন শব্দ চায়ে কতটা চিনি মসুর ডালে ফোড়ন দেওয়া নিয়ে দুচারটে কথা বলবো
কেননা সেই গল্পটাতো সত্যি প্রেম আমাদের ভিত্তি উপার্জন আমাদের ভবিষ্যত
আমরা বিড়াল পুষবো কিন্তু দুধ লুকিয়ে রাখবো ফ্রিজে
নামাবলী গায়ে দিয়ে ভগবানের উচ্ছিষ্ট খেতে পারবো না