Hello Testing

4th Year | 3rd Issue | June-July

৩০শে আষাঢ়, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | 16th July, 2023

প্রচ্ছদ কাহিনী, ধারাবাহিক গদ্য, ছোটোগল্প, গুচ্ছ কবিতা, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, স্বাস্থ্য, ফ্যাশান ও আরও অনেক কিছু...

ক বি তা

বা প্পা দি ত্য

মাটি

একটা পুরুষের জীবনে মাটির গভীরতা অনেক। কিন্তু, কেউ সেই মাটির উপর বেড়ে ওঠা পৃথিবী, উদ্ভিদ, অভয়ারণ্যর কথা জানতে চায় না। শিকড়ের কথা, পাতার মৃত্যুতে কেঁদে ওঠা বুক, শুষ্কতার কথা জানতে চায় না। যেটুকু নিয়ে অভিমান জানায় তা সেই নুড়ি-বালিটুকু; কাদার পিচ্ছিলতা, ভাঙ্গনের কথা জানায়।               

নুড়ি-বালির রুক্ষতা’র কাছে আমি নিজস্ব গতিবিধি, অভ্যন্তরীন গভীরতার কথা বলিনি। স্বভাবে পথচলা নেই, স্তব্ধ ধমনির চলাফেরাতে যে অঙ্কুর থেকে পাতার জন্ম- সেই পাতার কথা জানতে চাইলে পাতার প্রত্যেক রেখাতে রক্তচিহ্ন দেখাতে পারি ; 

যেই চিহ্নে কলহ নেই, 

অভিশাপ নেই, 

বিরক্তি নেই, 

কোলাহল নেই 

অথচ, শান্তিও আছে কি? 

শান্তির সংজ্ঞা গুছিয়ে বলতে পারলে আমি একা হতাম না, পাশে থেকেও তোমাকে একা করে দিতাম না। আসলে, নিজের উপর আমি তোমার অস্তিত্ব বেড়ে উঠতে দেখেছি, আবার, শিকড়ে শিকড়ে ছড়িয়ে দিতেও দেখি অবহেলা। 

 

সাধু সাধু! আমি মাটি বলে কি নরম হতে নেই?

 

সহাবস্থান 

আমার বাড়িতে এযাবৎ তিনটে পাখি এসে থাকে। সন্ধ্যে ৭’টা বাজলেই ব্যালকনির তিনটে কোণা দখল করে নেয় তিনজন। আমি রোজ রাতে ওদের দেখতে যাই, জল দিই, দানা দিই। ওদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করি, কিন্তু কিছু বোঝাতে পারিনি৷ ওরা কি বুঝতে পেরেও চুপ করে থাকে শুধু? জানা নেই ! 

পাখি তিনটে কালো এবং সাদা রঙের। একই প্রজাতি। আজ, হঠাৎ করেই অন্যমনস্কতায় ব্যালকনিতে গিয়ে টাওয়েলটা রাখতে যাওয়ায় একটা পাখির গায়ে হালকা স্পর্শ লাগে। সে উড়ে গিয়ে বসে ব্যালকনির তারজালির উপর। তীক্ষ্ণভাবে আমার দিয়ে তাকায়। আমি সহজ তখনও। 

এই তাকানোর মধ্যে রাগ ছিলো না কোনও। ব্যথা লাগার অঙ্গীকার ছিলো না। যা ছিলো তা হল, জিজ্ঞাসা। 

আমি স্পষ্ট দেখলাম চোখ দু’টো জিজ্ঞেস করছে, “হারানোর এত ভয়? নাকি অভ্যাসের?”

(আমি নির্বাক। কোনও উত্তর দিতে পারি নি।) 

আরও পড়ুন...