গু চ্ছ ক বি তা
বসন্ত আসলে রং বদলে যায় ঘরের।
চুন পলেস্তারা ছেঁড়া জামা পরা দেওয়ালরা জেনে যায় মাটি আর আকাশের তফাৎ।
ক্ষীণ হয়ে আসে ক্রমশ
সন্ধ্যাদীপের আলাপ
খোলা ছাদ জানে জীবন মানেই
খইফুল আর চন্দনের গান
বসন্ত আসলে
আমাকে আমার চাইতে
চোখে হারায় না কেউ।
ছায়াকে হারিয়ে হারিয়ে আবারও সেই ছায়া খুঁজে নিচ্ছি ক্রমশ
মৃত সাপ উঁকি মারে আকাশের একোণ
ও- কোণ থেকে
কৌণিক দূরত্ব বরাবর যে সমস্ত নীল পাখিরা
ডানা ঝাপটিয়ে ভেঙে দিয়েছিল শিকল
ভাঙার খেলা,
দূরে, খুব দূরে
সরে যাচ্ছে আজ
ধীরে ধীরে মৃত্যু আর জীবনের উপসংহার;
আলো ক্রমশ এদিকে ফিকে হয়ে এসেছে এখন
বাতি জ্বালাই। নিভে যাক বরং
আলো আর আগুনের তফাৎ।
১
প্রতিটি ভুলের শেষে নতুন
করে ঘরবাড়ি গড়ে ওঠে আবার
গাছ লাগাই দরজার পাশে,
জানালা বেয়ে ছড়িয়ে পড়ে মাধবীলতার জীবন!
ঘুম ভাঙলে স্বপ্ন দেখি আবার,
প্রাতঃভ্রমণ সারি মৃত্যু আর জীবনের সন্ধিক্ষণে।
২
প্রাচীন শহর কেঁদে ওঠে আজ
নিঃশব্দের অঙ্গীকারে
গুমরে ওঠে ছায়া। গুমরে কাঁদে
নিজস্ব প্রলাপ…
বাক্যালাপের পরে যে বৃক্ষের জন্ম
হয়েছিল নিজের ভিতর,
শূন্য হয়ে গিয়েছে তার ছায়া
আমি হাঁটছি। হেঁটে চলেছি আরো,
আরও দীর্ঘায়িত ছায়ামানুষ হয়ে।
৩
পুড়ে যায় সব। খুব পুড়ে যায়।
ছাই ভস্মের অহংকার আজ
নিভে যায় আজ জল- যমুনার স্রোতে
তেজ চিনতে চিনতে নিজেকেই
যে মিথ্যা বলে চিনতে শিখল আজ !
আগুন, মৃত্যু আসার আগে
সুখ চিনে নিও তুমি, যমুনা আর বাঁশির কাছে।