গু চ্ছ ক বি তা
১
সানগ্লাসের ভেতর থেকে সরাসরি দৃকপাত তোমার দিকেই
বুঝতে পারছ না
আলুথালু নিজেকে গুছিয়েও নিচ্ছনা
এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত সৃষ্টি হয়ে থাকছে
আর…
আমার ইচ্ছে করছে তোমাকে বোঝাই
আমি কতখানি দৃশ্য-ঐশ্বর্যে ধনী
২
তুলকালাম ধারাপাতে ভেসে যাচ্ছে চারদিক
সম্পৃক্ত ছিদ্রাতিছিদ্রে অতিরিক্ত প্রণয়কাহিনী
অথচ গাছের অশ্রুতে ভাসানকাহিনী
গুঁড়ি বেয়ে জমে ওঠা পিঁপড়ে সংসার ভেসে গেল –
কিছুতেই রোখা গেলনা
৩
যে রাস্তা দিয়ে মেঘেরা হেঁটে যায়
সে রাস্তাই চিনিয়ে দিয়েছিল খাদ
তুমি ফিরে এলে একা
আমি এখন পাহাড়ি গ্রামের স্কুলে কেয়ারটেকার
ঢালের গাছটায় আজও নিয়মমাফিক ফুল ফোটে
৪
কয়েক পা এগিয়ে
অন্তিম পংক্তিতে এসে দাঁড়িয়েছি
পাঠক সত্তার কাছে জিম্মা রাখা বিভাব কণিকা আচরাচর
শেষ নেই শেষ নেই বলতে বলতে উড়ে যায় শব্দের ঋণ
ওরা অন্তর্দহনের কথা বোঝাতে চাইলে মনে পড়ে যাচ্ছে
শব্দবন্ধে গুরুদশা এখনো কাটেনি
৫
অগম্য আলো থেকে মূর্ত হয়ে ওঠা ছায়ার আদল
নিরাসক্তির ভেতরে যে অবশিষ্ট
ওকে কিছুই চেনাতে পারিনি
সুনসান হাওয়াদের পাড়া…অন্ধকার…ট্রেন ছুটে যায়…
আত্মহত্যাকামিতা মুছে আসে চুপচাপ
৬
গভীরে ক্ষরিত স্রাব
মায়াকিনার থেকে উঠে আসে লীনতাপ
জ্বরে পুড়ে যাওয়া বেহুঁশ কপালে
স্পর্শ কবিতা
পাঠ মনে নেই…স্মৃতি আর ফেরে না বলেই
কাঙ্খিত