ক বি তা
১
বৃক্ষের কাছে এসে দেখেছি, দারুণ সমারোহে
সদ্য ঈশ্বরের মুখোশ ভাঙতে কেউ যেন
অরণ্যে রেখে গেছে স্বর্গীয় নাভিকুণ্ড
অহরহ সেখানে আগুন জ্বলছে
দাউদাউ আশঙ্কায়, অগ্নিবলয়ের দিকে
প্রণম্য গাছ ছড়িয়ে দেয় তার বল্কলবসন
২
ধ্যান ও বিষাদের মুখ থেকে পাখিদের গান
শুষে নিচ্ছে বৃষ্টির আয়ু, ছায়ার অন্তরীক্ষে
কাঠুরিয়া লিখে রাখে পাতাদের ছন্দপতন
হে ঈশ্বর, তোমার তৃতীয় নয়নে এত লাক্ষা
নিশান হয়ে ওড়ে কেন?
অদূরে গ্ৰামীণ সন্ধ্যায় শঙ্খধ্বনি ভেসে আসে
যার ভাঙা নিঃশ্বাসে কুঠারের আঘাত
সরু গলি হয়ে ফিরে যায় অশনি সংকেতে
কেউ যেন সদ্য কবর খুঁড়ে দৃশ্যের নিকটে
পিপাসার্ত ঠোঁট রেখে এসেছিল অজান্তে
প্রাচীন জিহ্বায় তার অনুচ্চারিত কোলাহলে
পেরিয়ে যাচ্ছে আয়ুর আঁধার, প্রকৃত সেতুহীন
আমাদের নিথর দেহ ভাসছে হাওয়ার ভেতর
তীক্ষ্ণতা থাকবে জেনে আজকাল নদীপথে
কাগজের নৌকো রেখে আসি, স্মৃতির ভারে
রাত গভীর হলেই হাসপাতালের গন্ধ নেমে আসে
ধীর চিকিৎসায় সংশয় করাঘাত করে
অসময়ে অবিন্যস্ত তুমি নিষ্ফলা পথে হেঁটে যাও
সহসা মর্মতল ছুঁয়ে যায় জলের উচ্ছ্বাস
তোমার শুশ্রূষা ঝরে পড়ে দূর সমাধিমন্দিরে