অ নু বা দ
ফ্রাঁসিস পঁঝ ও আঁরি মিশো, দুজনেরই জন্ম ১৮৯৯ সালে। কিন্তু চক ও চীজের মধ্যে যে ফারাক এই দুজনের কাব্যাদর্শের দূরত্ব ততটাই। মিশোর জগত অদ্ভুত কল্পসার, অনিশ্চয়তার, নিষ্ঠুরতার। ফ্রাঁসিস পঁঝের জগত নিরাসক্ত আবেগ বর্জিত। কবি ও তার বর্ণিত বস্তুর মধ্যে একটা একাত্মতা গড়ে ওঠে তাঁর কবিতায়– যার ফলে কবিতার সাথেই কবিরও যেন নতুন এক অস্তিত্ব শুরু হয়। ফ্রাঁসিস পঁঝ একে বলেন সহ-জন্ম। স্বচ্ছ নমনীয় গদ্য তাঁর কবিতার চাহন।
ঝিনুক সাধারণ নুড়ির মতোই সে— শুধু খানিকটা কর্কশ। রংও অন্যরকম। উজ্জ্বল সাদার নিচে উদ্ধতভাবে রুদ্ধ এক পৃথিবী। খোলার জন্য দরকার কোনো কাপড়ে আলতো জড়িয়ে তারপর ধারাল আড়ষ্ট ছুরি দিয়ে বারবার আঘাত। আর ঠিক এই সময়েই অতি-উৎসাহীদের আঙুল কাটে, নখ ভেঙে যায়। কাজটা কঠিন। যে কোনো আঘাত সাদা বৃত্ত তৈরি করে ওর চামড়ায়। এক ধরণের শূণ্যতা এনে দেয়।
কিন্তু ভেতরে যাও, এক পরিপূর্ণ পৃথিবী। খাদ্য ও পানীয়ের বিশাল সম্ভার। ঝকঝকে মুক্তোর আকাশ— যেখানে শূণ্য ঝাঁপিয়ে নামছে মাটির নিচে অন্য এক শূণ্যে। আর ছোট পুকুর তৈরি হচ্ছে সবুজ কাদায় ঠাসা থলের মতো। কালো একটা রেখা তৈরি করে ঘ্রাণ ও দৃশ্যময়তা নিয়ে যা মিলিয়ে যাচ্ছে।
দুষ্প্রাপ্য। তবু যখন কোনো ঝকঝকে গলায় যখন সে উঠে আসে মুক্তো হয়ে তখনই বোঝা যায় তার মহিমা।