গু চ্ছ ক বি তা
ন্যাপথলিনের গন্ধ আর ভাদ্রের প্রেম…
টুকরো বরফ ঘষে নেয় জার্মানি পারদ মাখা ঠোঁট!
বিষের পাহাড়ি নদী আর ভাবলেশহীন পার্কস্ট্রীট সিমেট্রি,
পার্ক অ্যাভিনিউ পারফিউম মাখা চ্যাপ্টা সুশ্রী খাদ—
রুটি রুজির দৃশ্য এখন
ই বিলিং-এ ট্রান্সফার হয়
হিং-এর গন্ধ আর কাঁসার বাটির পায়েসে
সোজাসাপটা গেরস্থালি,
গোছানো
সাদা ঝিলের বক
মাঝে মাঝে ছাদে উড়ে আসে
পড়ন্ত বিকেলে
টবে দেওয়া জল গড়িয়ে ভিজিয়ে দেয়
ছাদে মেলা পোশাক
বাহান্ন পাতে ডাইনিং
উনুনের ছাই ওড়ে বেডরুমে
অস্থিসার দৃশ্য…
নাইট ল্যাম্পের আলো ফুলদানির ছায়ায়
ছোপ ছোপ ময়াল সাপ…
নরম আলোয় তাসের ব্রীজ খেলা—
সুগন্ধি আতরে জ্যোৎস্না লেগে
বুদবুদ ফেনা ওঠে কার্তিকের ঠান্ডায়…
ফ্রান্সের চাঁদ আর চিতাবাঘের চোখ—
রঙিন ট্রেসিং পেপারের কোলাজ…
আর্ট গ্যালারিতে কালো ফ্রেমের ছবি—
জানলা দিয়ে চাঁদ ধরতে গিয়ে মেয়েটির
চোখাচোখি কালপুরুষের সাথে…
ঘেঁষাঘেষি ট্রেন লাইন,
বেলজিয়াম কাচের গা থেকে
ঠিকরে পড়া আলোর মিলকিওয়ে
গোল্ডফিস আঁতুড়ঘরে
কয়েকটা এপিটাফ লিখেছে।
হাতুড়ে ডাক্তারের চোখ ফসকায় জন্মদাগ—
শহরতলির পাকস্থলী অনেকটাই বিলাসী
বন্দরের খালাসীর মাস্তুল গোটাতে গিয়ে
আঠালো বসন্ত লেগে যায় হাতে
মন্ত্রে বানানো পুতুলের চোখে চিক্ চিক্ করে
ধমনীর ঘরমুখো চাহিদা—
লালচে জড়ুল
খাদের পাশে দাঁড়িয়ে
উষ্ণ নিঃশ্বাস শুষে নেয়।