পা ঠ প্র তি ক্রি য়া
শিল্প নিছক প্রতিবাদ নয়, সৃষ্টিশীলতা ইস্তেহার বা তাৎক্ষণিক উত্তেজনা নয়। বরং তা এই পচনশীলতার মধ্যে, বিশৃঙ্খলতার মধ্যে বেঁচে থাকার একটা অঙ্গীকার নিয়ে আসে। ” — (‘অপরিচিত অথচ সৃষ্টিশীল’ )
বাংলা কবিতাকে যতনে কুসুমরতনে সাজাবার মধ্যযুগীয় বিলাসিতার বাইরে বার করে এনে একটা নিজস্ব হাড়গোড়-মজ্জা-মাংসের কাঠামো নিয়ে তাকে বাস্তবিকই ‘বেঁচে থাকার একটা অঙ্গীকার’ হিসাবে দেখেছেন যাঁরা, তাঁদের নামের তালিকা দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা বৃথা । এই প্রসঙ্গে যে ধারা এক চলমান জীবন্ত জীবাশ্ম হয়ে রয়েছে, তার অন্যতম নাম জীবনানন্দ দাশ । রবীন্দ্র উত্তর কালে বাংলা কবিতাকে যথার্থ মানব প্রতীতিদানের দ্বারা গড়ে তোলার দায় কবি নিয়েছেন বেলা-অবেলা-কালবেলায় । রূপসার ঘোলা জলে বহু স্রোত তৎপরবর্তীতে বাহিত হয়েছে । সৃষ্টি-স্থিতিশীল জগতের দ্বিমাত্রিক ভারসাম্য বিলুপ্ত হয়ে এক উন্নাসিক নৈরাজ্য সমকালীন ভাবনার জগতকে দিয়েছে এক বাঙ্ময়-নীরবতা, যেখানে প্রজন্মের পর প্রজন্ম শুধু স্থাণু পরিচয় বহন করে চলেছে বাহুল্যের মাধ্যমে । ফাঁপা শূন্যগর্ভ শব্দ আমাদের ভাবায় না, বরং বিস্মিত করে তার চমকে । এরইমধ্যে কেউ কেউ দিশাহীন পৃথিবীর অনন্ত যাত্রী ; তিনি বা তাঁরা চান এক তীব্র বদল । চাইছেন নতুন ভারসাম্য গাঁথা হোক আমাদের ঘুমন্ত দিকবলয় জুড়ে । কিন্তু তা কীভাবে সম্ভব? প্রশ্ন ও উত্তরের বিস্ময় ও সংশয়ের দ্বন্দ্বের মাঝবরাবর বাংলা কবিতাকে তার পার্শ্বস্থভাবনাকে চ্যালেঞ্জ জানাতেই এলেন ‘শব ও সন্ন্যাসী’ খ্যাত ‘ক্ষুধার্ত’ কবি অরুণেশ ঘোষ, যিনি নাগরিক বৈভবের বাইরে একটা গোটা জীবন কাটিয়ে দিলেন কোচবিহারের ঘুঘুমারির মতো প্রত্যন্ত গ্রামে নিজস্ব উঠোন, বাড়ির দেওয়াল, গাছপালা ও বাংলাভাষাকে আঁকড়ে ধরে পরিষদপরিবৃত নির্জনতায় । এই বিস্ময়কর নির্জনতা ও একাত্মকে প্রতিষ্ঠা করার আবাল্য তাড়নায় তিনি যেমন সৃষ্টি করেছেন ‘অপরাধ আত্মার নিষিদ্ধ যাত্রা’, ‘গুহামানুষের গান’-এর মতো গ্রন্থকাব্য, পাশাপাশি কলম ধরেছেন বিস্ময়কর গদ্যরচনার কাজে । তেমনই তাঁর রচনা ‘কবিতার অন্ধকার যাত্রা’ গদ্যগ্রন্থটি, যা তবুও প্রয়াস প্রকাশনার এক অমূল্য অবদান । বইটির অন্তর্গত নামভূমিকার প্রবন্ধটি প্রথম প্রকাশিত হয় কবিতীর্থ পত্রিকায় ১৯৮৯ সালে । উক্ত প্রবন্ধটির সঙ্গে লেখকের আরও এগারোটি প্রবন্ধ নিয়ে বর্তমান গ্রন্থে এক মলাটের মধ্যে প্রকাশিত হয় এই মহার্ঘ সংকলনটি ।
বইটির প্রথম প্রবন্ধে স্থবিরতার যাপনচিত্রকে অগ্রাহ্য করে বাংলা কবিতার গম্যতাকে তুলে ধরেছেন লেখক বলেছেন, “জীবনানন্দ পড়ার পর রবীন্দ্রনাথে আর ফেরা যায়না, সময় ও ভাষার এক বিশাল তফাৎ ঘটে গেলো ।” এতেই থামা নয়, বাংলা কবিতাকে তার বোধগম্যতাকে ‘জীবনানন্দীয় গভীর গ্রাস’ থেকে মুক্তির দীঘল পথ খুঁজে দেখাতে চেয়েছেন লেখক । লেখার মাধ্যমেই নিজস্ব প্রত্যয় ও স্বাক্ষর তৈরি হয়- এই হওয়াটা একটা পবিত্র কর্তব্য যেমন, তেমনি না হওয়াটাও এক অপরাধ, এমনটাই মনে করতেন কবি প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত । এই চেষ্টার তরিকা ও তরীকৎ পেয়ে নিজস্ব ছাঁদ ও ছিরি নির্মাণের উদ্যোগ নেন আঠারো থেকে অষ্টআশির কলমচিরা । কিন্তু “…. তারাও তাদের কলমে কালি শুকিয়ে যাওয়ার আগেই ঝরে যায় ।” বদলে পড়ে থাকে শূন্যতা । এমনকি এই দোষে শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের মতো জীবৎকালেই কাল্ট বনে যাওয়া কবিও দুষ্ট হয়েছেন । ‘সস্তা লিরিক জোয়ারে’ বাঁধা পড়েছেন শক্তি; সুতরাং, তাঁর আর জীবনানন্দকে ছোঁয়া হয়ে ওঠেনি ।
কবিতা এক নির্মাণ –একক নির্মাণ । বোধের ক্রন্দসী নির্যাস, যার মূল-কাণ্ড-শাখা রয়েছে কাদা-মাটি-পূরীষসম্বলিত লৌকিকতায় । যৌথতায়, স্লোগানে বা আত্মতৃপ্তিকামী মফসসলি যুবকের গোষ্ঠীচেতনায় নয় । নির্দয় আঘাত করে তাই লেখক কবিতার কারিগরদের এক নিজস্ব সড়ক নির্মাণ করার নির্দেশ দিলেন । তিনি ইউরোপজাত ন্যারেটিভের ধার ধরে এক সুস্পষ্ট ঋজুরেখ মাত্রা দেখিয়ে আমাদের বললেন, “আর জীবনানন্দ দিয়ে আমাদের আধুনিকতার শুরু । ওদের যখন শেষ, আমাদের তখন শুরু ।” কিন্তু প্রশ্ন উঠতে পারে ইউরোপিয় কালবিভাজনকেই বা কেন ভারতীয় বিশেষত বাংলা কাব্যধারার ধারণায় সমান্তরাল আদি-মধ্য-আধুনিকযুগ বিচারের ক্ষেত্রে একমাত্র বিচার্য করে দেখতে হবে? কিংবা জীবনানন্দীয় গ্রাস থেকে যদি মুক্ত হওয়ার কামনাই অবলম্বন হয় তবে “র্যাঁবোর কাছে, দস্তয়েভস্কির কাছে, কাফকার কাছে” আমাদের শুধু হাত পাততে হবে কেন? দ্বিতীয়ত, রবীন্দ্রনাথের বিশ্বভাবনার বদলে জীবনানন্দীয় হৃদবৃত্তি কি ‘আবেগবর্জিত’?
কবিতা ক্রমশ আশা-নিরাশা, বিদ্রোহ, ছন্দ, লিরিকের বাইরে এসে বিপন্ন নগ্নতাকে আলিঙ্গন করেছে বা সেইপথেই আরো এগিয়ে চলেছে ; আর সেই পথে চলবেন কবি, একা, অস্বীকৃতির বিস্বাদে তিক্ত সুরা গলায় ঢেলে চৈতন্যকে জাগিয়ে রাখবেন তাঁর লেখায় । এই পথের প্রথম ধাপে জীবনানন্দ থাকলে, পরবর্তীতে রয়েছেন বিনয় মজুমদার । লেখক আমাদের মনে করিয়ে দিতে চান, কবির ‘রাজনীতির দীক্ষা’ কবি ও কবিতায় নিহিত । বললেন, “জীবনানন্দে ও কমিউনিস্ট পার্টিতে আমি একইসঙ্গে প্রবেশ করলাম ।” তাঁর কাঁধের ঝোলায় থাকা কবিতার অস্থূল গ্রন্থই তাঁর ইস্তেহার, কৈশোরের আবেগে জারিত কবিতাই তখন ভাষা ও সমাধান খোঁজে, খোঁজে নিষিদ্ধতা…. মজার কথা, এই নিষিদ্ধতার অবদমন প্রাকৃত বিস্ময়কে দিগন্তের দ্রাঘিমায় পৌঁছে দেয় । তাই তো একজন নয়, একশো বা হাজারজন নয়, যুগে যুগে স্বপ্নের মান্দাসে ভাসে যৌথখামার – আর নির্মাণ হয় কবিতার । তাতে মানুষ ও প্রকৃতির ( মানুষী ) যৌথতা তো এক অনিবার্য পরিণাম । পেয়ে বসে আবিষ্কার ও বিজয়ের নেশা । নেশায় আসে তন্দ্রা – তখন সাতটি তারার তিমির জ্বলে গুহামানবের গানে । এইসব বহুমুখীনতার নিগড়ে বিশৃঙ্খলা নিহিত, তাকে বুনে ফেলতে জানতে হয় । আর এই একক প্রক্রিয়ায় কবির দ্রোহমুখ তো তাবৎ প্রতিষ্ঠান, এমনকি নিজেরও বিরুদ্ধে । তাই বারবার নিজস্বতার সন্ধানে কবি খুঁড়ে চলেছেন নিজেকে, আর যতই খুঁড়বেন ততই বদলাতে থাকবেন নিজের আশ্রয় । ঠাঁইনাড়া হবেন বারবার । সেই বদলের অভিমুখ আত্মকেন্দ্রিকতায় আবৃত নয়, বরং উন্মুক্ত নিজস্ব উপলব্ধিতে ।
‘শার্ল বোদলেয়ার : জীবন ও জীবনের পথ’ শীর্ষক প্রবন্ধেও স্পষ্টতই তিনি উচ্চারণ করেন এক রাগানুগ ভক্তি, যা রবীন্দ্রপ্রেমের নাম ধরেছে তার বিরুদ্ধে। অর্থাৎ রাবীন্দ্রিক ‘গ্রাম্যতা’-কে ঝেড়ে কবিতার স্মার্টনেস প্রকাশিত হয়েছে জীবনানন্দের আগমনে । আবার পাশাপাশি শার্ল বোদলেয়ার তাঁর স্যুররিয়াল আবেদনে মাত করেছেন ব্যতিক্রমী ভাবনার আসর । সমকালীন অবস্থার বিবরণ দিয়ে লেখক জানাচ্ছেন, “একদিকে শহুরে গ্রাম্যতা, আরেকদিকে অজপাড়াগাঁর গ্রাম্য অনাসৃষ্টি বাংলা সাহিত্যকে আপাদমস্তক মুড়ে দিতে চাইছিল ।” এই পরিস্থিতিতেই র্যাঁবো, রিলকে, বোদলেয়ারের অনুবাদ বাংলা কবিতার এক মানদণ্ড সৃষ্টি করেছিল । তাই সহজেই তিনি তুলে দিলেন তাঁর অগ্রবর্তী সহগামীদের নামের তালিকা, যাতে রয়েছেন জীবনানন্দ, বোদলেয়ার, র্যাঁবো, কাফকা, জেমস জয়েস, জগদীশ গুপ্ত, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কমলকুমার মজুমদার, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, বাসুদেব দাশগুপ্ত । নিজস্ব মননে বারবার এঁদের ধার ও ভারকে নিপুণভাবে ধার্য করেছেন লেখক । অথচ, সেখানে অদ্ভুতভাবে নেই বিনয় মজুমদার ।
অকপটে জাঁ আর্তুর র্যাঁবোর কাছে নিজের অকৃপণ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে লেখক বলে ফেললেন “… কোনোভাবেই শিকড়ের অস্তিত্বকে এড়িয়ে সৃষ্টি নয় । কোনোভাবেই শিকার হওয়া নয়, শিকারীও হওয়া নয়, উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা কবির জন্য নয় । যথার্থ অর্থেই তাকে বিদ্রোহ করতে হবে, আর সেই বিদ্রোহের শেষে থাকবে নতুন এক জগৎ । নতুন এক সময়ের দিকে যাওয়া ।” যথার্থ মূল্যায়নে তাই গ্যাদগেদে নান্দনিকতা কিংবা ব্যাকরণের কেঠো পথ দুটোকেই কাটিয়ে কবি দায়বদ্ধ হবেন আগামীর কাছে, তাঁর শ্রমেই তো কবিতা লোকায়ত ও অনির্বাণ হয়ে থাকবে । কবিতার নির্যাস শুধু কবির ভাবনার দরজায় কড়া নাড়ে । এক তন্ময়তায় আবিষ্ট করে কবিতাকে । ভাবনার তরঙ্গস্রোতের যে নির্মোক গতায়ত কবিমানসে ঘটে যায় তা তো স্থির নয়, স্থির হতেও পারেনা । এই অস্থির অম্লানদ্যুতি এক নবমাত্রায় পাঠক চেতনাকেও ছুঁয়ে যায় । তরঙ্গে তরঙ্গে অদৃশ্যপূর্ব মিলন ঘটলেই কবিত্বের প্রাকৃতায়ন ঘটে । সমস্ত গ্রন্থি ছিন্ন হয় এমনটাই মনে করতেন কবি মণীন্দ্র গুপ্ত । এই তদ্বিধচৈতন্যই ৱ্যাঁবোর সঙ্গে রামকৃষ্ণের মতো মেঠো কথকের সঙ্গত করিয়ে ফেলেছে। লেখকের অনুভূতিতে যা ধরা পড়েছে তা তাঁর স্থানুবৎ অস্তিত্ব কেবল, ‘যোনিভেদী’ লৈঙ্গিক সত্তা -অসীমের পথে যাত্রা । এই ‘অসীম’ কি তথাকথিত মোক্ষ? উত্তরে বলা যায়, বাস্তবিকই কবির সংসারে তো অনেক কিছুই বাড়ন্ত হবে, কিন্তু সেখানে ডানা মেলবে মধ্যবিত্ত ভাবনার ডানা – অনন্তপেখম । তাতে যেমন থাকবে আঁধারের আদর, তেমনি থাকবে আলোর শাসন । সময় তার বাহন হবে । এই দ্বৈতের মধ্যেই ব্যক্তিসত্তা স্রষ্টায় উত্তীর্ণ হন । কিন্তু শর্ত হল, কবি-লেখক হবেন স্বাধীন ও দ্রোহী । তাঁর সৃষ্টিকর্ম একদিকে হবে আপোষহীন অন্যদিকে নির্জনতাচারী । তিনি জানবেন নৈরাজ্য থেকে শৃঙ্খলায় প্রত্যাবর্তনের পথ । মিথ্যার আড়ম্বরের খোলস খুলে ‘উলঙ্গ ও সত্য রূপকে’ মেলে ধরাই কবির কাজ, কবিতার কাজ ।
তবে, প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, ‘সত্য’ কী? তার কি কোনো সার্বিক ও সর্বজনগ্রাহ্য রূপ আছে? প্রাজ্ঞ লেখক চেয়েছেন জাগতিক চমকশীলতার জারিজুরি তুলে ফেলে শিল্পকে নির্মোহ ও পুঁজির দাসত্ব থেকে মুক্তিদানের মাধ্যমে শিল্পের স্বাবলম্বন ঘটাতে । তাই তিনি একাধারে কবি, অন্যদিকে বিপ্লবী । তাঁর লক্ষ্য স্থবিরতা নয় । কারণ তিনিও তো মানেন “এ পৃথিবীর রণ রক্ত সফলতা সত্য/ শেষ সত্য নয় ।”
রোমান্টিক বিপ্লবের ফ্যান্টাসিতে ঠাসা আমাদের মধ্যবিত্ত চোখ যে স্বপ্ন দেখে ও বৈশ্বিক বোধভাণ্ড ভরে ফেলে, তার স্ফুরণই নিজের ভিতরে ঘটে ক্রমাগত । তাই-ই প্রকাশ পায় শিল্পে । শিল্পী তাঁর স্বপ্নকে আমৃত্যু লালন করেন । কিন্তু এই কাজ কেউ কেউ করেন নির্জনে, সমস্ত বৃত্তের বাইরে দাঁড়িয়ে । কোনো বৃত্তের জীব হয়ে নয় । বর্তমান গ্রন্থের লেখক সেই কাজ করেছেন । বারবার ছুটে গেছেন সমকামী, মাতাল, বেশ্যা, কবিদের কাছে । খুঁজে দেখতে চেয়েছেন অন্য বর্গের নিষিদ্ধ ভাষ্য । তাই লিখেছেন, “একদিকে র্যাঁবো ও জীবনানন্দ আমি চলেছি বেশ্যাপাড়ার দিকে, ভাটিখানার দিকে, গ্রাম্য মেলার দিকে, জুয়াড়ি, গেঁজেল ও মাতালদের দিকে । গ্রন্থ ও মানুষ । শব্দ ও মাংস । গান ও যৌনসঙ্গম । বিশুদ্ধ কবিতা থেকে বীর্যের গড়িয়ে যাওয়া ধারা । সাংঘাবাড়ি ও ভাটিখানায় বসে আমি র্যাঁবো পড়ি… বেশ্যার ঘরে জীবনানন্দ…. জুয়ার আড্ডায় বসে দস্টয়েভস্কি….” এভাবে বারবার নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে সাংকেতিক সংযোগ স্থাপন করেছেন এক থেকে অন্য, অন্য থেকে অনন্য অরুণেশ, যা এই বইয়ের পাতায় পাতায়, প্রবন্ধে প্রবন্ধে উৎসারিত হয়েছে ।
গ্রন্থ: কবিতার অন্ধকার যাত্রা
লেখক: অরুণেশ ঘোষ
প্রকাশনা: তবুও প্রয়াস