ক বি তা
এসো প্রিয়, এসো জলচারী
রাত্রিব্যাপী আমি অনাহারী
দাও কান্না, দাও দুঃখ শোক।
নিয়ে যাও খিদে একগ্রাস
আঁশগন্ধে গেঁথে নিও শ্বাস
লক্ষ্মীমন্ত স্থির ক’টি চোখ।
ওরাও তো গমনবিলাসী
নিমিত্তের সুখ অভিলাষী
জন্ম যেন অপাপজনিত
ভোগী নয়, ভোগের আসনে
নির্বিকার মোহ সমর্পণে
অবতার স্বয়ং বর্ণিত।
এক ঘরের মতো রোদ
ভিতরে রোদের মতো ঘর
ছোটগল্পে যেমন হয়
আলো চলকে ওঠার পর।
সেই অন্ধকারের মেয়ে
যার সারা আকাশ ছেয়ে
মেঘ কান্না জুড়ে দিলে
প্রেম আপনি ওঠে গেয়ে।
তার গল্প জুড়ে শুধু
ব্যথা লিখেছে মুখবই,
এখন বৃষ্টি হবার সুখে
তারা অবাধ্য থৈথৈ।
মেয়ের হারিয়ে গেছে স্রোত,
নেই স্রোত হারানোর ভয়
মেয়ে চলতে জানে পথে,
চোখে দুরন্ত বিস্ময়।
দিনে গাছের মতো বাড়ে
রাতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে
খিদে অসংযমী হলে
ঘুমে মড়ার মতো মরে।
তার মৃত্যুজোড়া সাধ,
সাধ অন্ধকারের পর
ফিরে আসবে রাজার মতো
এক রোদের ভেতর ঘর।