গু চ্ছ ক বি তা
দরজার পাশে শুয়ে আছি
হাসপাতালের চিঠি রাখা আছে
আরোগ্য চাই না আর। নোনাধরা সিলিং পাখায়
ঘুরছে বহ্নিশিখা ঘুরছে আগুনলতা গাছ।
দরজার চৌকাঠে মাথা রেখে তেরপলে
সমুদ্র আছড়ে পড়ে পায়ের পাতার কাছে
চন্দ্রভাগার মতো
এ অসুখ সারবার নয় আমার
দিদিমণি ঘুরে ঘুরে তাপমাত্রা মেপে যায় রোজ
দরজার পাশে শুয়ে থাকি।
ধরেছি সহজে
কাগজের ভাঁজে প্রজাপতি
মদ্দা ও মাদি। পাহাড়ের পথে
শহরের তাদের গা’হলুদ
সাদা কাগজের এক পার থেকে অন্য পারে গড়িয়ে যায়
ডানা নড়ছে না তাদের আর
তৈলাক্ত রস আঙুলের এক কোণে
আমার সঞ্চয় হয়ে থাকে।
তারপর ক্রমশ বিন্দু হতে হবে…
এক বিন্দু মাইক্রোচিপের মতো
ধাপে ধাপে পুরনো শরীর
তুমি এনে দেবে পুষ্পপূট
এই হাত আমার বহু চেনা
বিন্দুর অপর প্রান্তে প্রাসাদের জহরব্রতঘর
সভ্যতার দ্বিতীয় লগ্ন পার করে
আবার সন্ন্যাসী হবো।
আগুন আবিষ্কারের বহু আগে
চকমকি পাথরের মতো
আরও একটি আগুন জ্বলেছিল।
আগুনের শিখা থেকে জাগ্রত পায়েসের থালি
যদুরাজ সভায় বসেছেন
অথচ আগুন আবিষ্কারের বহু আগে
তখনও আগুন ছিল
অন্য আগুন।
ওপারের আকাশে উড়ছে ধুলো
এপারে কাঁপছে কড়িকাঠ
ছাদ ভেঙে পড়ছে দালানে
রাসমঞ্চ জুড়ে আজ সারাদিন হরিসভা হবে।
ওপারে গুলির শব্দ
মুক্তিযোদ্ধা হেঁটে আসছেন রামেশ্বরপুরে
তাঁর হাতে হরধনু, তাঁর মধ্যকপালে আগুন
ভগ্ন রাজবাড়ির উঠোনে আমি
ইছামতী দেখি
আগুন গোলক দেখি
দৃপ্ত বনবাসীর ফিরে আসা কেন
দেখতে পাই না…