ক বি তা
ভালোকে ঐশ্বর্য ভেবে গুছিয়ে রেখেছি শরীর।
বেদনা হয়ে জমে যাচ্ছে দুঃখের নোনা জলে গ্রামীণ হৃদয় আমার। মজে যাচ্ছে সুখ।
নিজের রাত্রির পায়ে কত যে কেঁদেছি। কত কথা শুনিয়েছি নিজেকে নিজের ভিতর, শাসন করেছি; তবু কথা রাখেনি সময়। আমি সহজ-সরল একটু বেশি বলেই কী তবে, সকলেই আমাকে বাঁকা রাস্তার পথ দেখিয়েছে ?
দ্যাখো আবার একটা সাক্ষাৎকার তোমার যুদ্ধের পক্ষ থেকে উঁকি মারছে আমাদের রক্তের দিকে।
এই শহর মনুষ্যবিহীন হোক, আমি চাই না অন্ধকার। তাই তোমাকে অস্ত্রবিহীন হতে বলেছি, শান্ত হতে বলেছি।
দ্যাখো আমিও কেমন চুপ হয়ে বসে আছি।
একটা গ্রামীণ সন্ধ্যার মতো নীরবতা বিছিয়ে দিয়ে বসে আছি নতুন কবিতায়। আর মাঝেমাঝেই পিছনে তাকিয়ে দেখছি, স্মৃতিভর্তি অন্ধকারে আমার ভাতের কান্নার দাগ কেমন চকখড়ির মতো ফুটে আছে! তবুও হাসছি ভেতরে ভেতরে, খেলছি, লিখছি, আর আনন্দ করছি…
তোমার স্পর্শ লেখা এলে উত্তাল ঢেউ ওঠে নতুন কবিতায়। ধুলো গন্ধ আলোর রূপ এসে জড়ো হয়। সেইখানে বয়ে যায় হলুদ পাতার দোল খাওয়া হাওয়া আর রৌদ্রপ্রভা জলে স্নান টলমল সকাল। তখনও ঘরের দুঃখ – মায়া ভাতে অনাস্বাদিত তুমি পড়ে থাক একা। সারা শরীর জুড়ে দুর্ভাগ্য তোমার অজস্র ক্ষতের গায়ে দুপুরের নুন লেগে যায়। কী যন্ত্রণায়, না, সে চিৎকার নয়; আমারই বিবেকের দংশনরত এক হাহাকার রোল, বেজে উঠত চুপ !
তারপর একদিন চলে যেতে দূরে, এ-পারের ধুলো গ্রাম থেকে শহরের নতুন অন্ধকারের দিকে। যেখানে বিন্দু- কিছু অশ্রুর চির প্রেম তুমি বিছিয়ে দিতে সরু রাস্তায়। আর যেখানে, সস্তা শুধু দেহের সৌন্দর্য তোমার, মাঝেমাঝেই অতিকায় দুঃখ দিয়ে যেত !