বাং লা দে শে র ক বি তা
প্রচ্ছন্ন কত কিছুই তো থাকে— মায়া, বাৎসল্য এমনকি প্রেম
আমি উড়ন্ত সসারের মতো যেতে দেখেছি তাকে
যে একদা মায়াতেই জড়িয়ে ছিল
সে আসলে লুকিয়ে ছিল কাদা এবং পানির ভেতর
ছাপগুলো তখনো ছিল, শুকিয়ে যাবার আগেও
কুমারের হাতের কারিশমা জানার পরও
আমরা মাটিতে আস্থা হারাইনি
যে মাটিতে বীজ ও রক্তের দাগ ছিল
পুড়ে যাবার আগে ওইসব আকরিক মাটি
ফুলে ,ফসলে ও বীজে উর্বর ছিল
জল ছিল, মায়া ছিল
প্রেম ছিল ‘জিবরাইলের ডানা’র মতো প্রসারিত
আমাদের সমূহ আকাঙ্ক্ষায় জল ঢেলে
সবকিছু পুড়ে যাবার পরও কোনো ফিনিক্স পাখির
দেখা মেলেনি
মায়া গিয়েছে, বাৎসল্য, প্রেম গিয়েছে
ফিরে আসেনি।
মনে পড়ে
ভার্গাস ঝোসার সেই ‘সাহিত্যের আগুন’
আগুন পোড়ায় কবিকে
অন্য আগুন পোড়ায় সমাজ ও যত জঞ্জালকে
উদাসীন, হিমশীতল, নীরক্ত আর নাকউঁচু নন্দনতাত্ত্বিকরা যায়
কলাকৈবল্যবাদে হাঁটে শুঁয়োপোকা
যদিও বারবার ভেঙে গিয়েছিল স্বপ্ন, উৎকাঙ্ক্ষার স্বতঃ:স্ফূর্ত প্রকাশ
বারবার মোহভঙ্গ, বারবার ব্যর্থতার বোধ
বারবার স্বৈরাচার, বারবার রক্তপাত
তবু বিপ্লব থেমে যায়নি
লেখা হয় মেহিকোর পাথরে, ধুলোয়, মরুভূমির বালির রাশিতে
লেখা হয় হুয়ান রুলফোয়, তার ‘পেদ্রো পারামো’য়, ‘জ্বলন্ত প্রান্তর’-এ।