ক বি তা
কালবৈশাখী ঝড়ে কচি আমগুলো যেমন ঝরে যায় শর্তহীন
তেমনি ইচ্ছেস্বপ্নগুলো,
সাময়িক কিছু বিলীয়মান জন্মদাগ
জলে অদৃশ্য হওয়ার আগে শিশিরের টুপ শব্দ,
আজকাল মনে হয় সাপের মতো চন্দন গাছকে পেঁচিয়ে থাকি
আমার দু’নাক বন্ধ, সুবাসের জন্য আর নিশ্চয়ই নয়।
ছয় ষষ্ঠীর দিন পিঁড়ি পেতে রাখা হয়েছিল তাঁর জন্য
সামনে কাগজ কলম,
তিনি আয়েশ করে আমার নাম লিখেছিলেন “অরণি”
আর তার পর থেকেই –
চন্দনের দেশ বুঝি দক্ষিণে , পথ নির্দেশ জানিনা
আশে পাশে যে চন্দন গাছ দেখি সেগুলো আসলে বাবলা
একটা চন্দন গাছের জন্য হাঁটবো আরো কতোটা পথ ?
পুনর্ভবার উপর যে হাওয়া ভাসে তা চলমান
সেই চলমানতাকে কিছু ফ্রেমে ভেঙে নেয় চোখ
প্রতি সেকেন্ডে পঞ্চাশ থেকে একশ আলাদা ফ্রেম
মস্তিষ্ক তাদেরকে আলাদা আলাদা চিহ্নিত করে
নজরে আসে দুইটি ডানার সমন্বয়হীনতা
বৈসাদৃশ্য, অতি অতিক্ষুদ্র সময়ের ব্যবধান
আর ঠিক এভাবেই বাতাস পাখি দেয় উড়াল
ভাবছো এসব ভুল? পরাবাস্তব নয়, অতীব,
চড়ার শূন্যতা শরীরে পাতা, ছুঁয়ে দেখেছ তুমি?
তোমার কথা ঘূর্ণি; দিগন্তে ঝুলছে দুর্বোধ্যতায়
যেভাবে লেগে থাকে বলাকা ঠোঁটের পার্থিব মায়া
সৌরমণ্ডলের বিশ্বস্ততা অর্পণ করি তোমায়
সরাসরি ভালোবাসার কথা বলতে পারো না; না ?
সহজে বলতে পারো না যে ছেড়ে থাকা যায় না; না?
ক্যানভাসে আঁকা মোনালিসা, ঠোঁটে হাসি উপক্রম
রহস্যময়ী, সংযত অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ
আকস্মিক প্রারম্ভিক মুহূর্তটুকুন শুধু নয়,
যত সম্ভব ভেঙে পড়তে চাই হাসির তুমুলে।