বাং লা দে শে র ক বি তা
আমি অন্ধকারে আমার মুখ আঁকছি
দূরে কোথাও সূর্য ছড়িয়ে পড়ছে
জলের গভীর থেকে আলো উঠে আসে
আমার ছায়া বলে কিছু নেই;
কিন্তু শরীরের বিকল্প একটা মুখ খুঁজছি
সাত রঙ ধরে যে চোখ
চোখের গভীরে শব্দহীন রঙগুলো
পর্দা থেকে সরিয়ে দিলে
একটা ছায়াগ্রহ উঠে আসে
সূর্যের আগুনে আমি শরীর পুড়িয়ে
ছায়া নিয়ে উঠে দাঁড়াই
আলোতে ছায়া হারালেও আগুনে পোড়ে না কোনোদিন
অথচ অবিনাশী ছায়া
ভালোবাসার চোখ খুঁজে পায়নি আজও!
প্রতিবার অসুস্থ হবার আগে ছায়ার সঙ্গে দেখা হয়
দুপুর গড়াতে গড়াতে বিকেলের কাছে এসে দাঁড়ালে
ছায়াকে দেখা যায় ঘাটে, নৌকোতে বসে আছে একা
আমি তখন ম্যাজিশিয়ান
ছায়াকে প্রতিস্থাপন করি বটের থানে
ছায়া খুব বেপরোয়া হয়ে উঠলে
লবণ-জলে ভরে নিই পাকস্থলী
সেই থেকে আমি এক তান্ত্রিক
ছায়া আমার পেছনে ছোটে
ছায়া এবার বাঘিনী মেয়ে, কণ্ঠস্বর চেপে ধরলে
কেতলীতে গরম জল
ছায়াকে ঘুম পাড়িয়ে দিই বাষ্পীয় স্বপ্নে
প্রতিবার অসুস্থ হবার আগে ছায়ার সঙ্গে দেখা হয়
প্রতিটি মৃত্যু একেকটি ঝরা পাতা
আত্মীয় পাতাটির কাছে শোকের মানচিত্র
বাগানের মালি কিন্তু চণ্ডালের ভূমিকায়
পাতার স্তুপ পুড়িয়ে দেয় শ্মশানের চিত্র এঁকে
মালিকের থাকে না কোনো খবর
মৃত্যুদৃশ্যটি সার্কাসের ক্লাউনের
মুখ ও মুখোশ নিয়ে
তার কাছে কেবলই হারিয়ে যাওয়া…