বাং লা দে শে র ক বি তা
এক হেমন্তে তুমি নরম ঘাসের গায়ে ঘর বেঁধো
সূর্য, ঘাসফড়িং অথবা শিশির হয়ে।
আমি গ্রাম্য মায়া সেজে মেঠো পথ ধরে হেঁটে যাই
আর তুমি লুকিয়ে ফেলো তোমার ধুপধুপানি বুকের গহীনে—
ভালোবাসাবাসি শেষে আমাকে সাজিও পাতার পুতুল,
তুলির চিত্রে চোখের হাসি…
বেলা ফুরোবার আগে না হয় ফিরিয়ে দিয়ো
মাটিতে পরে থাকা পিপিলীকার ঠোঁট, প্রেমের আঙুল আর
কুঁড়ে ঘরের হৃদপিন্ড—
তারপর… ইশারায় দেখিয়ে দিয়ো মনের মগজ ও মায়া পথ
পোড়ো তুমি… সাত দোযখের আগুনের চেয়েও বেশি!
ছাই হও অথবা অঙ্গার! আমার বিরহে বুঁদ হয়ে চিতা আঁকো
তোমার বুকের ঠিক বাম পাশটায়…
নবান্নের ধান যখন লাল ঘোমটায় কৃষকের কপাল জুড়ে হাসি লিখবে,
তুমি তখন বর্ষা ডেকো তোমার আদি ও অন্ধ চোখে!
আমি বিরহ বোঝাতে চাই বিধাতার কাছে মাথা নুইয়ে…
এ পাশেও বর্ষাকাল প্রতিনিয়ত—
তবুও ভরা যৌবনা নদী জলোচ্ছ্বাসে বানের জানান দেবে মাত্র,
ভেতরের গান থাকবে ঝিনুকে লুকোনো মুক্তোর মতো…
সবুজ ঘাসের গায়ে লালচোখা স্বপ্ন
ভয়ংকর চিহ্ন এঁকে দিক তোমার জন্য,
এ পৃথিবী আর তার চোখে পড়ে না…