ক বি তা
বাঁচার মতো বাঁচবে বলে সবাই সরোবরে রাজহাঁস ছেড়ে দেয়। আমার কোনো রাজহাঁস নেই। একটি মেরুন রঙের ১৮ ইঞ্চি সাইকেল আছে। যার পিছনের টায়ার ফেটে টিউব বেরিয়ে গেছে। নতুন টায়ার লাগাইনি যে এমন নয়। মাদারির খেলা দেখানোর সময় কে যেন সেই টায়ারটি খুলে নিয়ে গেছে। খেলার মাঝে ক্লান্ত হয়ে একসময় বসেছিলাম সরোবরের পাশে। একটি রাজহংসী তার মেদবহুল ডানা নিয়ে জাপটে ধরে আমায়। গালে ও গলায় ঠোঁট ঘষে। আমি স্নেহের পরশ পাই। আগামীকাল বুদ্ধপূর্ণিমা! আমার কি ছুটি? জিজ্ঞেস করতেই সে ক্যালেন্ডার দেখায়। সাইকেলের ঘষে যাওয়া টায়ারের গ্যাটিস বের হয়ে ফোটকা মাছের মতো ফুলে আছে টিউব। ভাঙা তালা সহ সাইকেল পাশে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছি বাড়ির দিকে। পিছনে সরোবরে মানুষের অবয়ব। জলকেলি করতে করতে উল্লাস ধ্বনি ওঠে। জলকেলি করতে করতে শীৎকার ঢেউ ওঠে। জলকেলি করতে করতে ছোট ছোট ভয়ের তরঙ্গ মিশে যেতে যেতে পাড় জুড়ে শুধু বাঁচার ছলাৎ…
তোমায় দেখবো বলে আজ ছুটি নিয়েছি
ফেলে আসা রাত্রি যখন আমায় ধাক্কা দিয়ে
ফেলে দিলো এক সদ্যোজাত বৃষ্টির দিকে
স্বপ্নে ভিজে যাওয়া ছাড়া আর উপায় ছিল না
আমি চোখ খুলতে পারছি না
হেঁটে ফিরে যেতে পারছি না
একটা নাটকের দৃশ্যের দিকে
আমার এযাবৎকালের যত ব্যথা
খাপ থেকে তুলে রাখি তোমার পায়ের কাছে
শাড়ির পাটে পাটে কেমন করে তুমি লুকিয়ে রেখেছ সুগন্ধি
আর চুলের খোঁপায় বাঁধা আমাদের মিলনের আকাঙ্ক্ষাগুলি
এইসব দেখবো বলেই আমি আজ ছুটি নিয়েছি
আজকে যে নারী গর্ভবতী হল সে হল প্রকৃতি
আজ যে পুরুষ ছুটি নিল সে হল অহংকার