বাং লা দে শে র ক বি তা
লেবু পাতার গান শুনি, জোৎস্নার কুয়াশার কল্লোল ঝরা সুখে মেঘবালিকা পাঠ করছে মনোরম বৃষ্টির কবিতা।
উপলব্ধির গাছের নীচে, বাঁশিওয়ালার সেই পুরনো সুর বাজে, যে সুরে ঘর ছেড়েছিল একদিন নিঘরা রাধা।
দ্যাখো, পোয়াতি বাদুড় পাকা কলার সন্ধানে
বেরিয়েছে বুকে নিয়ে নিশি সুর, জীবনভর তুমি খুঁজলে যারে বুকে ।
নিঃশ্বাসের নল বেয়ে ফুরায় অক্সিজেন,
কোথায় যাবে এক জোড়া মাটির পাখি? বিষণ্ণ বৈভব রেখে সুখে ?
মেঘের রঙে সেজেছে শাদাকালো সময়, তুমি এলে পরিয়ে দেবো বৃষ্টির নোলক এই বর্ষায়
চেয়ে আছে এলোকেশী দাঁড়কাক, কদমের ডালে ডালে নৈঃশব্দে স্বপ্ন ফুটে হলুদ মায়ায়
হাওরে জলজ গন্ধে মাতাল নিক্বণের সুর, পাটাতনের সংসার ভুলে গেছে মাঝি অচেনা ভালবাসায়
হিজল, করচের সবুজ ছায়া ভিজে হয় জলের শরীর, চিত্রপটে আঁকবে কেউ তুলির বেদনায়
দ্যাখো, সোনালী রোদে পুড়ে চেয়ে আছে চাতক কাঙ্ক্ষিত তৃষ্ণা মেটাবে তোমার ছোঁয়ায়
অলকানন্দা সাজিয়েছে হলুদ বাসর, তুমি না এলে ব্যর্থ আয়োজন, কার সাথে কাটাবে একান্তে সন্ধ্যায়?
ঐ যে রোদ্দুর শেষে কালো নিনাদ, বাউলের ঘরে ঘরে সুরের হাহাকার শুধুই তোমার আশায়
তুমি এলে পরিয়ে দেবো বৃষ্টির নোলক এই বর্ষায়।