বাং লা দে শে র ক বি তা
কেউ কোথাও বসে সুতো কাটছে। তবুও ক’দিন পর পর মানুষের চিড়িয়াখানা দেখার ইচ্ছে জাগে। আমরা জানি দূরে বেড়াতে গেলে পকেটে বাঘের ছবি রাখতে হয়। তুমি তো জানোই, পৃথিবী একটা ঘোড়ার ডিম। আবার জিজ্ঞেস কোরো না ঘোড়া কী। ঘোড়া যেহেতু উড়ে না, সেহেতু সেটা পাখি না। আর পাখি যেহেতু উড়ে, সেটা নিশ্চয় ঘোড়া না। মানুষ ঘোড়াও না, পাখিও না। মানুষ হলো ঘোড়ার ডিম।
এসব কারণে আজকাল আমি পোস্টঅফিস পর্যন্ত এসে ফিরে যাই। পোস্টমাস্টারের বউয়ের চিঠি পড়ি। বাঘ দেখার লোভে সে পালিয়ে গেছে চিড়িয়াখানার দারোয়ানের সাথে। এখনো সে প্রতিদিন পোস্টমাস্টারকে চিঠি লিখে। চিঠিতে থাকে চিড়িয়াখানার গল্প। এখন পোস্টমস্টার বাঘ দেখতে চিড়িয়াখানায় আসেন । চিড়িয়াখানা অনেক দূরে। আমিও মাঝেমাঝে তার সাথে যাই। সে বাঘ দেখতে দেখতে বলে, পৃথিবী নিশ্চয় তার প্রেমিকের কাছ থেকে পালিয়ে আসা গোল কমলালেবু।
এখনো কেউ কেউ পা থেকে জুতা খুলে রাখে। জুতার নাম হতে পারে মাস্টার শু। পায়ের কোনো নাম নেই। পায়ের নাম দিলাম মহানন্দা। মহানন্দা নদীর নামও হতে পারে অথবা সেতুর। সেতু নামে আমার এক বন্ধু ছিলো। স্কুলে থাকতেই যে পানিতে ডুবে মারা যায়। পানি একটা তরল পদার্থ। নদী এবং সমুদ্রের পানি এক নয়। সমুদ্রের পানি খুব সম্ভবত নদীর পানি চেয়ে হালকা। ছোটবেলায় পড়েছিলাম নদীর পানিতে সাঁতার কাটা সহজ। সাঁতার কাটতে গিয়ে আমি সাইকেল চালানো শিখতে পারিনি। সেতু সাইকেল চালাতে পারতো, তবুও সে নদীতে ডুবে মারা যায়। নদীর নাম মহানন্দা। যার চারটি উপনদী আছে। যার একটি পুনর্ভবা। এই নামের এক মেয়ে প্রতি সোমবার আমাকে চিঠি লিখত। চিঠির শেষে থাকতো চারটি কমলা ফুল। কমলা ফুল হলুদও না কমলাও না। দুটোর মাঝামাঝি কিছু একটা হবে। সেটা নিশ্চিত বেগুনিও না নীলও না। মহানন্দা তুমি উত্তর দিও।