ক বি তা
হু হু ট্রেন ছুটতে থাকলেই বাবার কথা
জানালার ওপারে ভোর, তোর দেশ, তোর মাটি
শহর থেকে সবুজ ধানের খেত, সরষে ফুল
সরু নদীর শুয়ে থাকা দেখা হয় না
দেখ গ্রীষ্ম যেন বসে আছে ওই বাংলার ঘাটে
ঘাটের কথায় চোখ ভিজে আসে
আশ্বিন পেরিয়ে হালকা ঠান্ডার আমেজ
বাবা শুয়ে আছেন আগুন আগলে
রাঙা মুখ, বাবা বলছেন, আমি আছি তো
বাবার নাভি ভেসে যায় ঝাপসা চোখের ওপর
হু হু ট্রন শুনশান স্টেশন চত্বর পেরোয়
বিকেল কি হয়ে এল, জানালার ওপারে গ্রামের ওপর
হালকা আলো ঝুলে থাকল গ্রামের বাংলায়
কত গল্প সাজিয়ে নিয়ে বসতেন বাবা
ভেতর ঘর থেকে মা ডাকতেন, রাত হল
আজকাল রাস্তায় বেরোই না
বেরোলেও একধার দিয়ে হাঁটি, মাথা নিচু
রাস্তায় বেরোলে নিজেকে ভীষণ বিপন্ন মনে হয়
মনে হয় সবাই যেন আমাকে দেখছে
আমি তো কিছুই করিনি, ভালো কাজ, মন্দ কাজ
কোনোটাই না, তবু কেন মনে হয়, সবাই দেখছে
হয়তো ভয়, হয়তো কোনো আতঙ্ক, হয়তো নিছকই ভ্রম
ভ্রম এমনই, তাড়া করে, ধীর হয় পদক্ষেপ
কোথায় চললেন- বলে কেউ দাঁড়ালে, চমকে উঠি
দ্রুত স্বাভাবিক হতে আরো রাস্তার ধারে যাই
আশপাশের বাড়ির দেওয়ালও গা ঘেঁষে দাঁড়ায়
হয়তো এরই নাম দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া