বাং লা দে শে র ক বি তা
তবু বৃষ্টি হোক যত হোক আমি যাচ্ছি
মৃদুমন্দ জল ঝাপটা এসে লাগছে
আর আলোড়ন কিছু অহেতুক তড়পাচ্ছে
ট্রেনে চলছে মাঝ রাস্তায় এক সন্ধ্যা ধীরে নামছে
আমি আসছি ওগো শুনছো
ওগো শুনছো আমি আসছি
জল পড়ছে মাঝ রাস্তায়
আমি ভিজে কাক, আমি ভেজা বুট
ট্রেন ছুটছে কু ঝিক ঝিক…
তখন আমাদের ছায়া আমাদেরই ব্যঙ্গ করতে করতে পিছু নেবে আমাদের। আমরা আহত হবো না তাতে। আমরা পুষ্প বিসর্জনের আগে পুষ্পের ঘ্রাণ টেনে নিয়ে তৎসম হবো। আর নিজস্ব মানচিত্রের দিকে তাকিয়ে খিল খিল হেসে উঠব। যেহেতু রাত নেমে এলে একটা চড়ুই পাখি বাসা বাঁধে আমার ঘরে, সেহেতু জানি যে, যে কোনো সংকটে আমিও একটা আশ্রয় হতে পারি। এই জানার ভেতর কিঞ্চিৎ বাস্তবতা আছে, কিছুটা কল্পনা। যে কোনো না-থাকার চাইতেই কিছুটা থাকা ভালো। এই যেমন এই লেখাটা, এই যেমন তুমি বললে— ‘আমি চাই নেচে যাবো আমলকির বনে, সাথে থাকবে আমাদের অজানা দিনের সম্ভাব্য ডায়াগ্রাম। আমরা মন হবো; বন হবো। তবু মনে ও গোপনে রবে নাগরিক মুখরতা!’ এইসব কথার বাস্তব ভিত্তি না থাক, একটা কল্পনাসুখ তো আছে!
সম্পূর্ণ সমাধানের দিকে নিশ্চয়ই একদিন বেড়ে উঠবে ব্যক্তিগত ঝাউগাছ। ফুল ফুটবে, পাখি ডাকবে, তারপর ধীরে, খুব ধীরে হবে মৌনতা বিসর্জন।
অনেক অনেক অপোক্ত ব্যাস ও বিন্যাস ডিঙিয়ে, পৃথিবীতে জল ঝরে যাবে একদিন, দ্বিধাহীন…