বাং লা দে শে র ক বি তা
গজিয়ে উঠছে বুলেট গাছের চারা
মন্দাকিনীর মন্দ জলে হাঁস
সিপাহী রাজার ছিল যে আজ তাড়া
বারো মাসের দেনার বাকী ঘাস।
আমিও চলি স্রোতের সাথে স্রোতে
বললে কেন উলটো পালে যেও?
ন্যায়ের মৎস্য ধরেছে আচম্বিতে
মাৎস্যন্যায় মুণ্ডু পেতে নিও।
বাকীর ঘরেই দেনার মহারাজা
বাড়ন্ত চাল বিলিয়ে চলেন খুদ
ভাত ফুটলে যাবজ্জীবন সাজা
উঠোন রোদে শুধতে হবে সুদ।
রাজার হস্তী সকল হস্ত জুড়ে
বাজাবে যখন সাজানো দুন্দুভি
আমার মুণ্ডু ছিটকে রইবে দূরে
গাইতে যেন ভুলো না মসনভি!
ভিক্ষা পাত্র হাতে বের হই—
অথচ, ঝুলিতে আমার ছিল বাজারের বাসনা।
যা কিছু মেলে গান, ধান-দুর্বা-খড়
বাসি ভাত, সাদা নুন, আশ্বিনে ঝড়
কুড়িয়ে বাড়িয়ে দেখি মুঠোতে ধরে না,
ছাই হয়ে ঝরে পড়ে গুঁড়ো গুঁড়ো সোনা।
ভিক্ষা পাত্র হাতে বের হই—
অথচ, ঝুলিতে আমার ছিল বাজারের বাসনা…