গু চ্ছ ক বি তা
যারা আমাকে কষ্ট দেয়ার যোগ্য ছিল না,
তারাও আমাকে দুঃখ দিয়েছে ঢের।
তাদের দেয়া কষ্টকেও
আমি গ্রহণ করেছি বুকে,
তাকে প্রাপ্য বলেই জেনেছি জীবনের।
মানুষের মৃত্যু হলে পর, মানুষ মানুষ থাকে না।
দেখতে যদিও তাকে মানুষের মতোই দেখায়,
তবু সে মানুষ নয়, মানুষের মতন আর কিছু।
তাকে মাটি খুঁড়ে গভীর কবরে শুইয়ে দাও-
মাটির বিছানায়, মাটির বালিশে সে ঘুমাবে,
তার বুক ফেটে যাবে তৃষ্ণায়, তবু সে একগ্লাস
পানিও চাইবে না কারও কাছে।
জগতে মৃতের মতন অভিমানী আর কে আছে?
বাঁশ ও চন্দনের চিতা সাজিয়ে
তাকে ঐ পাখির নীড়ের মতো চিতার ভিতরে
শুয়ে পড়তে বলো, সে কিচ্ছুটি বলবে না।
সে জানে, অগ্নিসিংহাসনে এখন মুখাগ্নি হবে তার।
সে জানে, এই যে প্রজ্জ্বলন্ত চিতার হাতছানি
তার চেয়ে অধিক সাহসী তার মরদেহখানি।
গাছের শাখাগুলি দুলছে, আর
পাতাগুলি কাঁপছে।
এখানে গাছের কোনো কৃতিত্ব নেই।
এই ঘটনাটি ঘটাচ্ছেন যিনি—
আমি তাঁর নাম রেখেছি হাওয়া।
যে বাংলাদেশের পতাকা এবং
বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকতে পারে,
তাকেই আমি শিল্পী বলে মানি।
তোমার বুকের মালভূমিতে
বসবাস করেন আমার ঈশ্বর।
তোমার দেহের উর্বর জমিনে
জুমচাষ করেন আমার ঈশ্বর।।
সৌন্দর্যের উৎস হলে তুমি,
মহাজীবনের উৎস হলে তুমি।
আনন্দের উৎস হলে তুমি,
বেদনার উৎস হলে তুমি।
যার ছবি পুড়িয়ে ফেলেছি
সেও তুমি,
যাকে বাঁধিয়ে রেখেছি বুকে,
সেও তুমি।