অ নু বা দ ক বি তা
আজ রাতে আমি অদৃশ্য হয়ে থাকবো
শুধু ক’জন ব্রীড়াবনতা দেখবে আমাকে
আমার দৃশ্যমানতার গোপন দিনগুলোতে
আমি তাদের স্মিত মুখের জন্য কাতর ছিলাম
এখন তারা তাদের সান্ধ্যকালীন ষড়যন্ত্র থেকে উঁকি মারে
যাতে আমরা পরস্পরকে অভিবাদন করতে পারি
আমার বোনেরা
আমার ভাঙাচোরা আপন মানুষেরা তৃতীয় প্রেমিকের পিছু নিতে নিতে
ওরা আমার দিকে তাকায়
ইশারায় বলে
যতদিন আমরা এই দুর্ভাগ্যের জীবন মেনে নেব, ততদিন
আমাদের দেখা হবে না।
কবিতারা আর আমাদের ভালোবাসে না
ভালোবাসতে চাইছে না আমাদের কবিতা হতেও চাইছে না ওরা
বলছে, ডেকো না বন্ধু
আমরা এখন তোমাদের অকাজের।
উদার-হৃদয় নদীতেও
আর শিকার কোরো না প্রিয়
আমরা এবার নতুন জন্ম নেব
আমাদের তাই একলা থাকতে দিও
যারা শরীরের শ্রম দিয়ে যায় শুধু
বিশ্বকে নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই
কোথাও কাউকে আনন্দ দিতে আসেনি এ পৃথিবীতে
কবিতারা গেছে তাদের সে জগতেই
আমি থাকি এক নদীর ওপর মায়ামি নামক শহরে
কীভাবে যে থাকি বলার যোগ্য নয়
ঝরে আসা দেহ, আধা জন্মানো মানুষগুলোর সাথে
কখনো কখনো আমাদেরও দেখা হয়।
ওদের পেশির চারদিক ঘিরে
গোটানো হাতার মতো
কবিতারা সব যেন থকথকে জেলি করাতের দাঁত এবং ধারালো যন্ত্রগুলোর সাথে
দিনভর ওরা করছে মানস-কেলি
এই পংক্তিতে তোমাকে স্বাগত। যুদ্ধকালীন দিন আজ।
তবুও তোমাকে আমি আপ্যায়ন করে ডেকে নেবো।
আমার কথার দিকে দৃষ্টি দিও না।
এ শুধু স্নায়ুর চাপ।
তোমাকে কি আমি ভালোবাসিনি, বলো?
আমরা যখন পূর্বের দেশে ছাত্র-ছাত্রী ছিলাম।
একথা ঠিক যে এই বাড়িটি আগের মত নয়।
গ্রামের দখল নিয়ে নেওয়া হবে, বেশি দেরি নেই।
শত্রুকে আপ্যায়ন করবে
এমন কিছু রাখিনি এখানে।
যতদিন না দিন বদলাবে
যখন আমরা হার স্বীকার করিনি যখন আমরা এই অন্ধকারকে
কবিতা বলে মেনে নিতে প্রত্যাখ্যান করেছি,
প্রতারিত মানুষেরা তীর্থযাত্রীর মতো
যতদিন না ফিরে আসে সেইসব সময়ের কাছে
ততদিন
আমরা এখানে একা।
বিশ শতকের আমেরিকায় বব ডিলান যদি হন ফোক, ব্লুজ, রক, পপ ও গসপেলের বেতাজ বাদশা, লেনার্ড কোহেন তবে ফোক এবং বিশেষত সফট রক সংগীতের নিজস্ব ঘরানায় এক অলিখিত ঈশ্বর। এই কানাডিয়ান গায়ক, গীতিকার, কবি এবং ঔপন্যাসিক, যিনি ধর্ম, রাজনীতি, বিষাদ, যৌনতা, মৃত্যু এবং রোমান্স- সব প্রসঙ্গেই এমন অবাধ বিচরণ করেছেন যে মাত্র তিনটি কবিতার অনুবাদে তার সামান্যই ধরা পড়ে।