ক বি তা
শোনো হে যক্ষ, মিথিলা সনদ এলে শৈব মেঘ ছিঁড়ে কিছু পালক নামে, তুমি তাকে তুষার ভেবে হাত পুড়িয়ো না। কীভাবে বলি, দাউ দাউ টের পেতেই হিরণ্ময় পলায়নে ব্যস্ত হয়ে উঠেছিলো যে মানুষেরা, শেখানোর সময়ই পাইনি যাদের ভিজে কাঠ থেকে ধোঁয়া ওঠার অঙ্ক, তাদেরই দেখেছি ঘর বেঁধে, পাখি পুষে, পাহাড়ি ছবির ফ্রেমে ঘোড়া ভাড়া নিতে। শিখেছি, মৃত শুক্রাণুর যাপনকে বকলেসে আঁটা উল্কা ভাবতে ভাবতে কীভাবে টাঙানো যায় আত্মপ্রতারণার মহতী সামিয়ানা। তুমি বলতেই পার, এখানে আমি কোথায় আছি? দেখো, মেঘ পোড়াক বা রোদ্দুর ভেজাক, চুতিয়া চাঁদকে ডোবানোর নখরা কোনোদিন আকাশ বা তার পোষ্য নক্ষত্ররা করেন না।
বয়স হচ্ছে আমারও, অথচ তোমার থেকে দূরত্ব ক্রমেই বাড়ছে । এত চক্র, পদ্ম এঁকে শেষে দেখাচ্ছ চামড়ার নিচে শুধুমাত্র রক্ত থাকে? একটা সময় ছিলো যখন তুমি ছুঁলে, যে কোনো প্রান্ত, অস্থায়ী নাভি… ইত্থুসে ব্রহ্ম। অহং ছিলো, সাধক দেখেই অনিবার্য ব্যঙ্গ, এত নির্বাণ নির্বাণ করো কেন? তাকিয়ে দেখো, ইচ্ছেমৃত্যু চেয়ে মাথা কুটছে বেধড়ক আনন্দ। এখন শুধু মনে হয় আমার অস্তিত্বের শ্রেষ্ঠ ফ্যাসিস্ট তোমার ঠোঁট থেকে একটাই কথা আসছে, হে শূন্যতা, পায়ে চুমু রাখো, জারজ বিষণ্ণতা থেকে তোমারও মুক্তির সময় এলো। আর আমি নাদান নাবিকের বিশ্বাসে শেষ প্রেমের নুমায়েশ রেখে জানাচ্ছি, আয়াত ভুলে যাবে এতটা জুইঁ এঁকে দিতে ইচ্ছে হচ্ছে হৃদিতে, যদি আরেকবার তোমার নামে অজপা হই, চাঁদ কি আমায় নাস্তিক ডাকবে?