Hello Testing

4th Year | 2nd Issue

৩১শে বৈশাখ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | 15th May, 2023

প্রচ্ছদ কাহিনী, ধারাবাহিক গদ্য, ছোটোগল্প, গুচ্ছ কবিতা, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, স্বাস্থ্য, ফ্যাশান ও আরও অনেক কিছু...

অ নু বা দ

অ মি তা ভ   মৈ ত্র

এ. ডি. হোপের কবিতা

এ. ডি. হোপ (১৯০৭-২০০০) নিউ সাউথ ওয়েলসের কুমায় জন্মেছিলেন। জন্মভূমি আর তাসমানিয়া গ্রামে তাঁর শৈশব কেটেছিল। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (১৯২৮) হওয়ার পর তিনি ছাত্রবৃত্তি নিয়ে অক্সফোর্ডে যান। ক্যানবেরা ইউনিভার্সিটি কলেজে ইংরাজি সাহিত্যের অধ্যাপনা করার সময় তিনি অস্ট্রেলীয় শাহীটয়কে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণ পাঠ্য বিষয় হিসাবে এনেছিলেন।

আটবছর বয়সে মায়ের জন্মদিন উপলক্ষ্যে কবিতায় তাঁর হাতেখড়ি। ১৯৫৫ সালে বেরোল তাঁর প্রথম কবিতার বই ‘The Wandering Islands’। ১৫টি কাব্যগ্রন্থের সাথে বেশ কয়েকটি প্রবন্ধের বই রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।  

4449576-1x1-700x700

তোরণ

হৃদয় এখন হাজার গলায় গাইছে, শরীর

তোমার কোষের জেগে ওঠা গান শোনাও আমাকে

শক্ত মাটিকে সবলে ফাটিয়ে শিকড় এবার

মৃদু করাঘাতে কাঁপিয়ে তুলেছে বসন্ত; দেহ।

 

তিরতির করে উপরে উঠেছে জলকণা আর

ছড়িয়ে পড়ছে আনাচে কানাচে সবুজ বাড়ির

বুকে সুডোল মহিমা ধরেছে লাবণি পুঞ্জ

ওষ্ঠে ছড়িয়ে পড়েছে তৃপ্তি প্রগাঢ় চাপের।

 

আমিও ফিরছি। এদেশে আমাকে অনেকেই চায়

ওরা নাম জানে আমার এবং ডাকে আনন্দে।

স্বপন আমিই আর তুমি তার প্রবেশ তোরণ

তোমার ভেতরে আমি জেগে উঠে আলো হয়ে যাই।

 

নৈশ স্কুল

তোমার নৈশ স্কুলে আমি যা শিখেছি আজ বলি:

যখন তোমার মুখ প্রথম অপরিমেয় সম্মতি দিয়েছে

অদ্ভুত গ্রন্থের মতো তোমার শরীর এই চোখের সামনে মেলে দিতে

আমার উত্তর লেখা পাতাগুলো পরপর যেখানে সাজানো।

যদিও ঘটনা এই: অনেক খুঁজেও আমি হদিশ পাইনি

কী তকে জাগায় ঠিক, আর সেই প্রশ্নপত্র কোঠায় লুকানো।

 

আর, তোমার ঘুমের যারা অন্যতম প্রতিবেশী— সেই

ফিসফিস, ঘুমে-হেঁটে-চলা সেই গম্ভীর মুখেরা

যাদের দু-চোখ শুধু খুঁজে ফেরে কোঙ্খানে রক্ত, ক্ষতমুখ

সেই দৈত্য, যে দুঃস্বপ্নে জেগে উঠে গভীর চিন্তায় ডুবে যায়

আর সেই মেয়েটি এ কেঁপে ওঠে, শক্ত করে চেপে ধরা হাত—

যেন শিশু ভ্যাম্পায়ার তাঁর আঙুল কামড়ে ধরে আছে।

 

শিখেছি এদেরই কাছে। ছাত্র, কলমখানি তুলে ধরে

দেখে তার রক্ত ঝরছে ঘন হয়ে পৃষ্ঠায় ওপর

এবং নতুন ভাষ্য তৈরি হচ্ছে অনেকের চেনা মুখ নিয়ে

আমার বিশ্লেষণ তাদেরকে বারবার বলে দিতে থাকে,

যখন শব্দের সারি রেখা টানে আর অস্পষ্ট খাঁচা তৈরি হয়

আমাকে বন্দি করতে তাঁর জাদুকরী উজ্জীবনে।

আরও পড়ুন...