ক বি তা
আমার প্রজাপতি দিন দুঃখ ঢালে শাদা পাতায়
আমি ব্লটিং পেপারে তার কিছুটা শুষে নিই
বাকিটুকু দগদগে কালি-দাগ সময় পোড়াতে থাকে রোজ
সময়ের পিঠে সময় যেন লম্বা ফিল্মের রোল
মাঝে মাঝে জ্বলে যাওয়া দাগ।
আমার দুঃখগুলো রোদে পুড়ে নেতিয়ে পড়ে ক্রমশ
তাদের গায়ে ফের জলের ঝাপটা দিয়ে বলি ওঠো জাগো প্রাপ্য বরান নিবোধত
তারা উঠে বসতে গিয়ে ফের এলিয়ে পড়ে,
ভোরের কোমল রে ধা রক্তাভ আকাশে তাদের প্রার্থনায়
দেখি আমার সেইসব দুঃখগুলো ফুটে উঠেছে পলাশের রঙে
দূর থেকে আমি তাদের পতাকায় স্বাগত জানাই
ডালে ডালে হাওয়ায় হাওয়ায় ওরা দুলতে থাকে সারাদিন
জ্যোৎস্না আমার কাছে গান হয়ে ভেসে ভেসে আসে,
গোলাপ মাসির ঘরে রেডিওতে যেভাবে ঝরত কত চমৎকার গান।
এতদিনে জেনে গেছি পৃথিবীর থেকে চাঁদ তিন লক্ষ
চুরাশি হাজার কিমি দূরে। কলকাতা, দিল্লি থেকে
রেডিওতে ফ্রিকোয়েন্সি আসে।
কে কীভাবে চাঁদের দূরত্ব মেপেছিল এখনো জানি না।
শুধু তার জ্যোৎস্নাটুকু এখনো রক্তিম কৃষ্ণচূড়া
হারানো গানেরা ফিরে আসে, লতায় পাতায় স্নায়ু বেয়ে,
সেখানে পাহাড় আছে, বড় বড় ক্রেটার রয়েছে
এ-খবরে জ্যোৎস্নার বিরাম ঘটেনি কক্ষনো
সে আমায় গানে জলে এখনো আগের মতো শিশু করে রাখে
নদী বেয়ে রাত্রি আর জ্যোৎস্না ভেসে যায়
সবুজ পাতায় উপচে পড়ে চুম্বনের ছোপ
ঝড় বৃষ্টি রোদ চাঁদ সব কিছু নিয়ে পৃথিবীর অভিনয়
আমি এক জ্যোৎস্নাভরা কলম খুঁজেছি