ক বি তা
এখন অতীতের পাশে চুপ করে
বসে আছি
দিনান্তের ধুলো উড়ে চলে যায়,
গোপনে, সরে
ভেসে ওঠে মুখ, আলিঙ্গন সুখ
মৃদু হাসি
অতীতের গা থেকে ঝরে পড়ছে,
তির তীক্ষ্ণ
ঢুকে যাচ্ছে মনে, ধীরে, মিশছে
রন্ধ্রে রোমে
ভেসে উঠছে মুখ, মুছে যাচ্ছে
দ্রুত, মায়া
বসন্ত হেঁটে যাচ্ছে, ক্ষয়ে, চলে
যাচ্ছে দূরে।
যে আলো তোমাকে দিয়েছি
তা ফেরত চাইনি কখনও
শুধু মাঝে মাঝে টোকা দিয়ে
জেনে নিতে চেয়েছি,
সে আলোয় তা দিয়ে দিয়ে
তুমি কোনও ভোর খুঁজে পেলে কি না
তুমিও ইচ্ছেমতো তাকে
উল্টেপাল্টে দেখেছ, বুকে ছুরি
ঠেকিয়ে দেখেছ আলো
তাতে ফিকে হয় কি না।
তবু যে আলো তোমাকে দিয়েছি
তা ফেরত চাইনি কখনও।
প্রতিদিন রাত নিঝুম হলে
ক্লান্ত দুনিয়ার শামিয়ানায়
আমরা আলো জ্বালিয়ে বসেছি
সে আলোয় তুমি যেন নাম না জানা
প্রদেশের দিগভ্রষ্ট রাজকুমার
কৌস্তভ মণি খুঁজতে খুঁজতে
খিদে-তেষ্টা নিয়ে আমার দাওয়ায় পড়েছিলে
আর আমি কুটিরবাসী গ্রামের মেয়ে
তোমাকে তুলে এনেছি আমার ঘরে
তোমার শরীরের রক্ত মুছিয়েছি
ক্ষতে চেপে ধরেছি দুব্বোঘাস
তারপর তোমার ক্ষত থেকে
এক একটা আলোর গাছ জন্ম নিয়েছে
সে গাছের গা থেকে আলো পেড়ে এনে
আমরা মেখেছি সারা গায়ে
সে আলোয় ধাঁধিয়ে যাচ্ছে আমাদের ইহকাল পরকাল
ভেসে যাচ্ছে কত অযুত-নিযুত সম্ভাবনার ভাগ্য
সত্যি বলো রাজকুমার, সে আলো শরীরে ধরলে
তুমি কি ভুলে যাও না কৌস্তভ মণির কথাও?
তাহলে চলো
আরেকবার দেউলিয়া হই।