বাং লা দে শে র ক বি তা
তখন দুপুর রাস্তার ইলেকট্রিক কেবলে হেলান দিয়েছে
ধ্যান ধরেছে মোবাইল ফোন
ওদিকে ঠোঁটের পাটে চুমুর খই ফোটে
তরুণ তাজা ঘাসগুলি মাঠের দিকে কানাকানি জুড়েছে
সূর্যতাপে শরীরের আড়মোড়া ভাঙা মুথাঘাস অলস এখন
রোদ আড়ালে পাতার ফাঁকে হেসে কুটি কুটি ডালিম গাছের ময়না
গাদা ফুলেরা মুণ্ডু উঁচু করে ডেটিং করছে
আড়াই প্যাঁচ পর্দার নীচে চোখ মাঘের শীতের
শিমুল গাছে রক্তিম বসন্ত ঝুলেই আছে
তার এখন আত্মহত্যার কাল
একজন বলেছে ‘চোখ তুলে হেরিবনা’ কোনোদিন সাদা কাপড়ের দাগ
হোলি খেলার ছলে হাতের মুঠোয় রাখা বিশ্বাস সর্বদাই উজ্জ্বল
হৃদয় ধুয়ে সাফ করে দেয় যাবতীয় ডিটারজেন্ট
সর্পমণি যক্ষের ধনে হাওয়া তার পাহারাদার
জলবন্দী জীবন বানবাসি জীবনযাপন
অব্যবহৃত জলের কী দাম বন্দী জীবনে?
মজ্জাগত নালা খলবলিয়ে ওঠে মাঝে মাঝে আশীবিষের ছোবলে
শাপলার বিলে সর্পের মণিমানিক্য রক্ষা
দিন দিন রোদের সন্ন্যাসী সাধনা
দেবদারুর পাতা ঝরার দিন ঘনিয়ে আসছে ক্রমশ…।